জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2589 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস থেকে প্রায় ৬৩৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এ ঘটনায় তিন ভারতীয় নাগরিকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপপরিচালক সানজিদা খানম শনিবার রাতে গণমাধ্যকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক যাত্রীরা হলেন- রাহাত খান, মোহসিন আল মাহমুদ, কাজী মামুন ও সৈয়দ আমীর হোসেন, শামীম, মামুন, বশির আহমেদ কামাল, মামুন সরকার, আতিকুর রহমান মীনা এবং ভারতীয় তিনজন নাগরিক নবী হুসাইন, শাহাজাদা ও মোহাম্মদ ইমরান ।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার মাজার রোড (গাবতলী) থেকে বাবুবাজার ব্রীজ হয়ে দর্শনাগামী পূর্বাশা পরিবহন (গাড়ি নম্বর ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩৫৩৭) ও রয়েল পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩৬৮৬) নামে দুটি এসি বাসযোগে ও যাত্রীদের মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালান হতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর নির্দেশনা মোতাবেক উপপরিচালক সানজিদা খানমের নেতৃত্বে অভিযান হয়। বাস দুটি দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার চুলকুটিয়া এলাকায় অবস্থা নেয়। পরে রাত ৩টার দিকে বাস দুটি গোয়েন্দা টিমের নজরে আসে। গাড়ি দুটির বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তখনই উপস্থিত পুলিশ টিমের সহযোগিতায় গোয়েন্দা দলটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে বাস দুটির ভিতরে উঠে বিভিন্ন স্থান ও যাত্রীদের তল্লাশি করে।
প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের কাছে স্বর্ণবার থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে সন্দেহভাজন যাত্রীদের শরীরের অভ্যন্তরে লুকানো অবস্থায় স্বর্ণ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী ঝিলমিল হাসপাতালে নিয়ে এক্সরে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করে ১২ জন যাত্রীর মধ্যে পাঁচ জনের রেক্টাম এবং সাত জনের লাগেজের হ্যান্ডলবার, মানি ব্যাগ, কাঁধ ব্যাগের বিভিন্ন অংশে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় মোট সাত হাজার ৪৩২ গ্রাম বা ৬৩৭.১৭ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এই যাত্রীদের কাছ থেকে এসব স্বর্ণ বার আমদানি বা ক্রয়ের স্বপক্ষে বৈধ কোনো দলিলাদি পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।