আশরাফুজ্জামান বাবু, স্টাফ রিপোর্টার : প্রথমে দেখলে মনে হবে এটা হয়তো গ্রামের কোনো ইটের সোলিং রাস্তা। কিন্তু আসলে তা নয়। যশোর বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাট বাসস্ট্যান্ডে ও ঝিকরগাছার লাউজনি রেলক্রসিংএ পিচের উপর দেওয়া হয়েছে ইটের সোলিং।

সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টিতে রাস্তার এই অংশগুলো মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটা মেরামত না করে দায়সারা গোছের এই কাজ করে দায়িত্ব শেষ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্তারা। এর ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে এই মহাসড়কে যাতায়াতকারী হাজার হাজার পরিবহন ও লাখ লাখ মানুষ।

যশোর বেনাপোল রুটে নিয়মিত চলাচলকারী বাসের ড্রাইভার মনিরুল ইসলাম বলেন, এই দুই জায়গা পার হতে গেলে প্রচুর কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে এখানে গাড়ি খারাপ হয়ে জ্যাম লেগে যায়। ফলে সময়ও নষ্ট হয়।

নাগরিক অধিকার আন্দোলন, যশোর এর সমন্বয়ক মাসুদুজ্জামান মিঠু বলেন আমরা আমাদের সংগঠন এর পক্ষ থেকে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার এই জায়গাগুলো ঢালাই করে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও ফান্ড নেই এই অজুহাত দেখাচ্ছে। আসলে তাদের সদিচ্ছার অভাব আছে। বেনাপোল ও ভোমরা বন্দরের সাথে দেশের যোগাযোগ নির্বিঘ্ন রাখতে এই সড়কটি আন্তর্জাতিক মানের ৬ লেনে উন্নীত করার দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ ভারত যৌথ বানিজ্য কমিটির সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, সড়ক ও জনপথের উদাসীনতার কারণে এই জায়গাটা মানুষের দুর্ভোগ এর কারণ হয়ে উঠেছে। তারা শুধু বড়বড় প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এধরণের ছোট বিষয়গুলো তারা আমলে নিতে চায়না। মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলো দ্রুত সংস্কারের জন্য তিনি জোর দাবি জানান।

যশোর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, এই জায়গা দুটি বিশেষ করে লাউজনি রেলক্রসিং নিয়ে আমরা খুবই বিড়ম্বনার মধ্যে আছি। রেলওয়ের ডিভাইডার এর জন্য ঐ স্থানে রাস্তা দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। এই সমস্যা দূরীকরণের জন্য ইতিমধ্যে ১৫০ মিটার ঢালাই করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে এবং আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।