জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ১৬, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 3287 বার
ডেস্ক রিপোর্ট : কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানীসহ সারাদেশে ৬ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থী। তার নাম আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
একই সময়ে চট্টগ্রামে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ফারুক (৩২) ও ওয়াসিম (২২)। ফারুক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী এবং ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়া অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
একই দিনে রাজধানীর ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অজ্ঞাতনামা এক যুবক (২৫) নিহত হয়েছেন। আর এদিন সন্ধ্যার পর সায়েন্সল্যাব এলাকায় কোটাবিরোধীরে সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত যুবকের বয়স ২৫ বছরের কাছাকাছি। তার নাম মনির বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে নিয়ে আসা ব্যক্তিরা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার উত্তম কুমার পাল বলেন, ছাত্রলীগ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে তিনি কোন পক্ষের তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, নিহতদের একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী। আরেকজন ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী। অপরজন পথচারী। কলেজ শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে আমরা মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি। তবে পুলিশ কোথাও বলপ্রয়োগ করেনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার কানের নিচে ও মুখের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর সাইন্সল্যাব এলাকার সিটি কলেজের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় একজন পড়ে ছিলেন। তাকে উদ্ধার করে পাশের পপুলার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।