সারাবিশ্ব | তারিখঃ মে ২০, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5636 বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ সব আরোহীর মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ ও সংবাদ সংস্থা তাসনিম। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই।
ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্সকে জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনায় সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে… দুর্ভাগ্যবশত, সব যাত্রী নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
এর আগে অনুসন্ধান দল ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানটি খুঁজে পায়।
সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান পিরহোসেইন কোলিভান্দ বলেছেন, “পরিস্থিতি ভালো নয়”।
এদিকে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের ছবি-ভিডিও প্রকাশ করেছে ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভি।
চ্যানেলটি জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গীদের নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে খুঁজে পেয়েছে উদ্ধারকারী দল।
এর আগে বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারের অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য তুরস্কের পাঠানো একটি ড্রোন তাপের উৎস চিহ্নিত করেছে।
এজেন্সি দ্বারা প্রকাশিত উচ্চ-উচ্চতা দূরপাল্লার ড্রোন ব্যারাকটার আকিঞ্চি থেকে পাঠানো ফুটেজে রাতে একটি ল্যান্ডস্কেপের বায়বীয় দৃশ্য এবং একটি পাহাড়ের ধারে একটি অন্ধকার দাগ দেখায়।
তাসনিম নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের খোদা আফারিন অঞ্চলে একটি বাঁধ উদ্বোধনের পর ফিরে আসার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় যৌথভাবে একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন রাইসি।
খবরে আরও বলা হয়, সফরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও কর্মকর্তাকে বহনকারী দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করে। আর প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঘন কুয়াশায় সমস্যায় পড়ার পরে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করে।
হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং তাবরিজের জুমার নামাজের নেতা আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আল-ই-হাশেমও ছিলেন।