গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও জিম্মি নাবিকদের ছাড়তে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দাবি করেছে সোমালীয় জলদস্যুরা।

জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রামের আইনুল হক অভি নামের একজন নাবিক। বাংলাদেশি সময় বুধবার সকাল ৭টায় অভি তার মাকে এক মিনিটের একটি ভয়েস মেসেজ পাঠান।

ছেলে অভির ভয়েস মেসেজের বার্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ৭টায় এক মিনিটের ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছে ছেলে। এতে সে বলে টাকা না দিলে তাদের সবাইকে মেরে ফেলবে জলদস্যুরা।’

নাবিক অভির মা বলেন, ‘জলদস্যুরা মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে। এই অর্থ তাদের দিলেই মুক্তি মিলবে নাবিকদের।’

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজের ২৩ জন নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।

এ বিষয়ে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, “জলদস্যুরা নাবিকদের কোনো ক্ষতি করেনি। তাদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”

নাবিকদের খাবার সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর এখন রেশনিং করে চলতে হবে। ২০০ টন পানি দিয়ে সাধারণত এক মাস চলা যায়। রেশনিং করলে আরও বেশি দিন যাবে। একইভাবে ২৫ দিনের খাবার রেশনিং করে আরও কিছুদিন চালিয়ে নেওয়া যাবে।”