গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : দেশের তৃতীয় বৃহত্তম চিনি শোধনাগার চট্টগ্রামের এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আগুন ২৯ ঘণ্টা পরও সম্পূর্ণভাবে নেভানো যায়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৯টা পর্যন্ত সময়েও জ্বলছিল আগুন।

সোমবার বিকাল ৪টার দিকে মিলটিতে আগুন লাগে। শুরুতে গুদামের উপরের অংশে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার আধাঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। আগুনের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্পূর্ণরূপে নেভানো সম্ভব হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নেভানো যায়নি। বর্তমানে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, চিনির গুদামে আগুন লাগলে পুরোপুরি নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে। চিনিতে পানি মিশে কার্বন ও অক্সিজেন তৈরি হয়। এই দুটি উপাদান আগুনের শিখা বাড়ায়। সুতরাং গুদাম থেকে চিনির কাঁচা রাসায়নিক অপসারণ না করা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভানো যাবে না।

অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে গুদাম থেকে কীভাবে রাসায়নিকগুলো সরানো হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রাসায়নিকগুলো অপসারণের জন্য লং বুম ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছি। সেই সময়ে আমরা মিলের চারদিকে পানি পাম্প করব।

আগুন নেভানোর পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া চিনি যেন পাশের কর্ণফুলী নদীতে না পড়ে, সেজন্য কাজ করছে কর্ণফুলী থানা ও প্রশাসনের সদস্যরা।

বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও গতকাল রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে যোগ দেন।

আগুনে পুড়ে মিলের বিপুল পরিমাণ চিনি নষ্ট হয়ে গেছে। কারখানার কর্মকর্তাদের দাবি, গুদামে প্রায় ৭০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল।

কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক হাসমত আলী জানান, আগুন লাগার ৩০ মিনিট পর দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সুত্র : ঢাকা টাইমস।