হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করলেন ধর্ম উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরের হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। আজ (সোমবার) দিবাগত রাত ২ টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশি হজযাত্রী বহনকারী প্রথম বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের (হিজরি ১৪৪৬) হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর ধর্ম উপদেষ্টা হজযাত্রীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি হজযাত্রীদেরকে সৌদি আরবের আইনকানুন মেনে চলা এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ দেশের হজযাত্রীরা যাতে যৌক্তিক খরচে হজব্রত পালন করতে পারে সে বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি। হাজীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে সকল প্রক্রিয়া কীভাবে আরো সহজ করা যায় সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে উপদেষ্টা আশা ব্যক্ত করেন।
সৌদি আরবের জাতীয় ক্যারিয়ার সাউদিয়া এয়ারের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এ বছরের হজ ফ্লাইট। প্রথম ফ্লাইটিতে (এসভি ৩৮০৩) পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য ঢাকা ত্যাগ করবে ৩৯৮ জন হজযাত্রী।
প্রথম দিনে মোট ১০টি ফ্লাইটে ৪ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি যাবেন। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট সৌদি আরবের জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং দুটি ফ্লাইট মদিনায় প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে হজ ফ্লাইট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও সচিব নাসরীন জাহান, বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবদুল আজিজ ফাহাদ এম. আল ইব্রাহিম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূইয়া, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ও মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে দুজন যাত্রী হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এবছরের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে হজ কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ বছর তিনটি এয়ারলাইন্স ২৩২টি প্রাক-হজ ফ্লাইটের মাধ্যমে এ দেশের হজযাত্রী পরিবহণ করবে। বাংলাদেশ বিমান ১১৮ টি প্রাক-হজ ফ্লাইটে ৪৪ হাজার ৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২ হাজার ৭৪০ জন ও ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহণ করবে। ৩১ মে প্রাক-হজ ফ্লাইট শেষ হবে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি মাধ্যমে এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৮১ হাজার ৯০০ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, এ বছর হাজীদের জন্য যোগাযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন দরকারি ফিচার সম্বলিত একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এছাড়া তাদেরকে হজ প্রিপেইড কার্ড ও মোবাইল সিম রোমিং সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।