সাঈদ ইবনে হানিফ : সারাদেশের ন্যায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলাতেও এবছর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব সারদীয় দুর্গাপূজা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সর্বমোট ৯৭টি মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির তোড়জোড়। শেষ সময়ে চলছে রং তুলির কাজ। এ-উপলক্ষ্যে হিন্দু পল্লী গুলোতে বইছে উৎসবের আমেজ।
তাছাড়া কিছু কিছু মন্দিরে প্রতিমা তৈরি না হলে ও পূজা শুরুর দুই একদিন আগে তারা মন্দিরে প্রতিমা উঠাবেন বলে জানিয়েছেন পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে আগামী ২০অক্টোবর ইং ২০২৩, বাংলা ৩ কার্তিক শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামদিয়া ইউনিয়নের ১০টি সর্বজনিন দুর্গামন্দিরে এবছর অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাউৎব। সেই লক্ষ্যে ব্যাস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা। এখন শুধু বাকি রং ও তুলির সুক্ষ্ম কারুকাজ। এগারোখানের কমলাপুর ও রঘুরামপুর পাশাপাশি ছোট ছোট দুটো গ্রামে একক হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস। তাদের গ্রামে দুটি দুর্গামন্দিরে এবছর পূজা হবে কিন্তু অধিকাংশ মানুষ পূজায় অংশগ্রহণ করছে না।
জানা গেছে, সামাজিক দন্দের জেরে দুই গ্রামে ৫টি দল হয়েছে। আরও জানা যায়, এই ইউনিয়নের আমুড়িয়া গ্রামে হিন্দু মুসলিম মিলে দুটি পাড়া পূর্ব ও পশ্চিম মিলে হাতে গোনা ৬০টি পরিবার তবুও দুর্গোৎসব পালনে তাদের কোন সমস্যা হবে না। এছাড়াও উপজেলার যেসব পূজা মন্দির গুলোতে মোটামুটি আন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে বলে জানা গেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, পার্শ্ববর্তী জয়রামপুর সর্বজনিন দুর্গামন্দির, জামদিয়া ঠাকুর পাড়া, করিমপুর, জোকা মন্দির, বাকড়ী ও ঘোড়ানাছ দুর্গামন্দির বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর, ঘোষনগর সর্বজনীন দুর্গা মন্দির, বাগডাঙ্গা মালোপাড়া মন্দিরের নাম উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া উপজেলার ধলগ্রাম ইউনিয়নে এবছর ১৩টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্টিত হবে বলে জানা গেছে। পুজা অনুষ্ঠানে মন্দির গুলোতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে তেমন কোন শঙ্খা নেই তবু নজরদারি থাকবে যথা নিয়মে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ আব্দুল মুননাফ, মোবাইল : ০১৭১১ ৩৫৯৬৩১, ইমেইল: gsongbad440@gmail.com, IT Support: Trust Soft BD
Copyright © 2024 gramer songbad. All rights reserved.