০৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কৃষি-শিক্ষা ও নাগরিকবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তাব নিয়ে নতুনধারার সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কৃষিবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তাব নিয়ে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তোপখানা রোডস্থ বিজয় মিলনায়তনে ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নতুনধারার চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী।

এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫৪ বছর যাবৎ বাংলাদেশে শিক্ষা-কৃষি-শিল্প-বাণিজ্যসহ সকল স্তরের পাশাপাশি সীমান্ত সংকটকে পেলে-পুষে রেখেছে যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তখন সেই সরকার। আর এই কারণেই অতিতের মতই কৃষিপণ্যের যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় একের পর এক কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেই সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সীমান্তে বেড়েছে হত্যা-হামলা ও পাচারের ঘটনাও।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নতুনধারার প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী মুন্নি আলম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নূরজাহান নীরা, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, উপদেষ্টা গাজী মনসুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, সদস্য আল আমিন বৈরাগী, বিথী হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম প্রিন্স, মো. ওায়হান প্রমুখ।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ আগস্টের আগেও কৃষক ন্যয্যমূল্য না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে, ৫ আগস্টেও পরও করছে। কিন্ত আমরা ভেবেছিলাম- এবার অন্তত কৃষক কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে হাসবে বিজয়ের হাসি, শ্রমিক পাবে তাঁর ন্যয্যশ্রম মূল্য, বেকার যুবক পাবে বেঁচে থাকার মত মানসম্মত চাকুরি ও ব্যবসার সুযোগ; শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে-গড়বে বাংলাদেশ; সীমান্ত থাকবে নিরাপদ। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো ‘ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে কৃষক আত্মহত্যা করছে। নতুনধারার পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৫৮৮ জনকে বিএসএফ হত্যা করেছে। এ সময় আহত হয়েছে ৭৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। সীমান্তে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে ২০০৯ সালে। ওই বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে হতাহতের শিকার হয় ১৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের মধ্যে ৯৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আর ৭৭ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ২০১০ সালে ৭৪, ২০১১ সালে ৩১, ২০১২ সালে ৩৮, ২০১৩ সালে ২৯, ২০১৪ সালে ৩৫, ২০১৫ সালে ৪৪, ২০১৬ সালে ২৯, ২০১৭ সালে ২৫, ২০১৮ সালে ১১, ২০১৯ সালে ৪১, ২০২০ সালে ৫১, ২০২১ সালে ১৭, ২০২২ সালে ১৮, ২০২৩ সালে ২৮ জন এবং ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১৯ জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ২০২৫ সালের গত ৩ মাস ২৫ দিনে আরো নিহত হয়েছেন ৯ জন, আহত হয়েছেন শতাধিক। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ি দিপাক্ষিক আলোচনার ব্যবস্থা করা অনেক বেশি প্রয়োজন বলে মনে করি। ভারত রাজি না হলে আন্তর্জাতিক আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়াও উচিৎ বলে মনে করি। জাতি হিসেবে বাংলাদেশিরা সবসময়ই বঞ্চিত-নিপীড়িত। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ইউনূস সরকার ব্যর্থ হচ্ছে।

এমনকি উপদেষ্টাদের পাশাপাশি তাদের মা-বাবা-ভাই- বোন স্বজন-পরিজনরা আগের ফ্যাসিস্টদের রেকর্ড ভেঙে দুর্নীতিতে সেরা হচ্ছে। উত্তরণে চাই নীতির মাধ্যমে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়ে কৃষি-শিক্ষা ও সীমান্ত রক্ষায় ভূমিকা রাখুক, অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করুক। তা না হলে ‘ফ্যাসিস্ট গেছে যেই পথে, ইউনূস সরকারও যাবে সেই পথে, তখন আর শিক্ষার্থীরাও তাকে রক্ষা করতে পারবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৬:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
৩৪

কৃষি-শিক্ষা ও নাগরিকবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তাব নিয়ে নতুনধারার সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: ০৬:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কৃষিবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তাব নিয়ে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তোপখানা রোডস্থ বিজয় মিলনায়তনে ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নতুনধারার চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী।

এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫৪ বছর যাবৎ বাংলাদেশে শিক্ষা-কৃষি-শিল্প-বাণিজ্যসহ সকল স্তরের পাশাপাশি সীমান্ত সংকটকে পেলে-পুষে রেখেছে যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তখন সেই সরকার। আর এই কারণেই অতিতের মতই কৃষিপণ্যের যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় একের পর এক কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেই সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সীমান্তে বেড়েছে হত্যা-হামলা ও পাচারের ঘটনাও।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নতুনধারার প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী মুন্নি আলম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নূরজাহান নীরা, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, উপদেষ্টা গাজী মনসুর, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, সদস্য আল আমিন বৈরাগী, বিথী হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম প্রিন্স, মো. ওায়হান প্রমুখ।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫ আগস্টের আগেও কৃষক ন্যয্যমূল্য না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে, ৫ আগস্টেও পরও করছে। কিন্ত আমরা ভেবেছিলাম- এবার অন্তত কৃষক কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে হাসবে বিজয়ের হাসি, শ্রমিক পাবে তাঁর ন্যয্যশ্রম মূল্য, বেকার যুবক পাবে বেঁচে থাকার মত মানসম্মত চাকুরি ও ব্যবসার সুযোগ; শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে-গড়বে বাংলাদেশ; সীমান্ত থাকবে নিরাপদ। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো ‘ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে কৃষক আত্মহত্যা করছে। নতুনধারার পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৫৮৮ জনকে বিএসএফ হত্যা করেছে। এ সময় আহত হয়েছে ৭৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। সীমান্তে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে ২০০৯ সালে। ওই বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে হতাহতের শিকার হয় ১৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের মধ্যে ৯৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আর ৭৭ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ২০১০ সালে ৭৪, ২০১১ সালে ৩১, ২০১২ সালে ৩৮, ২০১৩ সালে ২৯, ২০১৪ সালে ৩৫, ২০১৫ সালে ৪৪, ২০১৬ সালে ২৯, ২০১৭ সালে ২৫, ২০১৮ সালে ১১, ২০১৯ সালে ৪১, ২০২০ সালে ৫১, ২০২১ সালে ১৭, ২০২২ সালে ১৮, ২০২৩ সালে ২৮ জন এবং ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১৯ জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ২০২৫ সালের গত ৩ মাস ২৫ দিনে আরো নিহত হয়েছেন ৯ জন, আহত হয়েছেন শতাধিক। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ি দিপাক্ষিক আলোচনার ব্যবস্থা করা অনেক বেশি প্রয়োজন বলে মনে করি। ভারত রাজি না হলে আন্তর্জাতিক আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়াও উচিৎ বলে মনে করি। জাতি হিসেবে বাংলাদেশিরা সবসময়ই বঞ্চিত-নিপীড়িত। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ইউনূস সরকার ব্যর্থ হচ্ছে।

এমনকি উপদেষ্টাদের পাশাপাশি তাদের মা-বাবা-ভাই- বোন স্বজন-পরিজনরা আগের ফ্যাসিস্টদের রেকর্ড ভেঙে দুর্নীতিতে সেরা হচ্ছে। উত্তরণে চাই নীতির মাধ্যমে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নিয়ে কৃষি-শিক্ষা ও সীমান্ত রক্ষায় ভূমিকা রাখুক, অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করুক। তা না হলে ‘ফ্যাসিস্ট গেছে যেই পথে, ইউনূস সরকারও যাবে সেই পথে, তখন আর শিক্ষার্থীরাও তাকে রক্ষা করতে পারবে না।