শাহাবুদ্দিন আহামেদ: বাংলাদেশের মুসলমানদের অভিশাপে দেশ ত্যাগ করেছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার, বেনাপোল বড় আঁচড়া গ্রামের ৪৩তম বাৎসরিক বিশাল ইচ্ছালে ছওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বললেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন।

১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় বড় আঁচড়া গ্রামের মাদ্রাসা ও ঈদগাহ ময়দানের মাঠ প্রাঙ্গনে, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের ভারত এর সভাপতিত্বে দুই জন নামি দামি বক্তাকে নিয়ে ৪৩তম বাৎসরিক বিশাল ইচ্ছালে ছওয়াব মাহফিলটি কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়।

পরে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথিদেরকে ব্যাস পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আজ থেকে ৬ মাস আগে সারা বাংলাদেশে ইসলামের কথা ও কুর আনের কথা বলতে যে আমাদের শ্রদ্ধেয় ইমামগণ ও যারা ইসলামের বিখ্যাত বিখ্যাত বক্তা আমরা দেখেছি youtube ফেসবুকে দেখেছি তাদের গায়ে হাত দিতে আওয়ামী লীগের দুশ্চরিত্র টাইপের মানুষ গুলা কুরআনের কথা বললেই ক্ষেপে যেত, তারা গায়ে হাত দিতে দ্বিধাবোধ করেন নাই যখনই কখনো বড় বড় মাহফিলে গিয়েছে আমাদের স্কলার বা ইসলামিক তখন আমরা দেখেছি পুলিশের একজন এসআই একজন সিপাই একজন ওসি গিয়ে তার মাহফিল গুলো বন্ধ করে দিয়েছে, হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদের মুখেও কোন মূল্য ছিল না। তারা কিন্তু কাদতে কাদতে চলে গিয়েছেন এবং চোখের পানি মুছতে মুছতে মাহফিল থেকে বিদায় নিয়েছে, কোন মাহফিল করতে পারিনি, আজকের আল্লাহ দিলে সেই সমস্ত মানুষের অভিশাপে ও সারা বাংলাদেশের মুসলমানদের যে হৃদয়ের কথাগুলা, সে হৃদয়ের কথা যখন বলতে পারিনি, তাদের দ্বারা অভিশপ্ত হয়েছে এজন্য আওয়ামী লীগ সরকার, বাংলাদেশের পৃথিবীর কোন সরকার নেই যে তার পরিবারসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। এই প্রথম আমাদের শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকার যে তিনি দেশ ত্যাগ করলেন, কি পরিমান অন্যায় করেছেন মানুষের কাছে, সে বাংলাদেশে থাকার মতো সাহস দেখাতে পারলেন না।

কিন্তু আপনারা দেখেন আমাদের দেশরত্ন বেগম খালেদা জিয়া বৃদ্ধ বয়সেও তিনি জেল থেকেছেন কিন্তু দেশ ত্যাগ করেননি এটাই হচ্ছে তফাৎ। কিন্তু হাসিনা এমন কর্ম করেছেন আজ হাজার হাজার মানুষের হত্যা করেছে মায়ের কোল খালি করেছেন, স্বামীহারা হয়েছেন, সন্তান বাবা হারা হয়েছেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বাংলাদেশের মানুষের অভিশাপের কারণে, আল্লাহ এই আওয়ামীলীগ সরকারকে চিরতরে বিদায় দিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে। আপনারা দোয়া করবেন আওয়ামী লীগ যেনো আর কখনো বাংলাদেশে ফিরে না আসতে পারে।

তিনি আরও বলেন , আমার নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশে প্রথম সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযুক্ত করেছেন, উনি এমন একটি ব্যক্তি যে সারা বাংলাদেশে গর্ব করা উচিত সারা পৃথিবীর মুসলিম দেশগুলো তাদের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তি হয়ে উঠলেন। উনি ইরাক ইরানের যুদ্ধ বন্ধ করার দায়িত্ব নিলেন, আপনারা যারা হজে গিয়েছেন তারা দেখেছেন,তার নেতৃত্বে আমাদের বাংলাদেশ থেকে পচুর পরিমাণ নিম গাছ নিয়ে গিয়ে সৌদি আরবের রোপন করেছেন, সেই গাছগুলোকে জিয়া গাছ বলাহয়। বিএনপির আমলে কোন ইমাম কোন স্কোলার বলতে পারবে না যে বিএনপির আমলে কোন জনসভায় কোনো মানুষকে অসম্মান করেছে, কেউ বলতে পারবেন না। কারণ আমরা ইসলামের প্রতি দুর্বল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন, প্রধান বক্তা বাংলার দ্বিতীয় সঈদী হযরত মাও: মাহমুদ উল্লাহ হেলালী,
বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের ভারত, শার্শা কৃষক দলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, শার্শা যুবদলের আহবায়ক মোস্তাফিজজ্জোহা সেলিম, বেনাপোল ৪ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলমগীর সিদ্দিকী, বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম আতিকুজ্জামান সনি, বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী, বড় আঁচড়া ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী ইদু, সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, বিএনপি নেতা সাংবাদিক মিলন হোসেন, বিএনপি নেতা সাংবাদিক কামাল উদ্দিন বিশ্বাসসহ সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান বৃন্দ এবং সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।