০৩:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি খরা মৌসুমে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরবাসীদের বিভিন্ন ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। হঠাৎ খরা মৌসুমে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেগে থাকা বালু চরগুলো নিমিষেই তলিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব দাবি আদায়ে তিস্তা পাড়ে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।  

অপরদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে ব্যারাজের ৬ টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

শনিবার বিকেল ৩টার পর থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫০ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার বিকাল ৩ টাও৬টায় ৫০দশমিক ১০সেন্টিমিটার) রেকর্ড করা হয়েছে করা হযেছ।

পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা পাড়ের কৃষকরা আশঙ্কায় রয়েছেন। তিস্তার জেগে উঠা বালুচরে চাষ করা রসুন, পিয়াজ, মরিচ, তরমুজ, গম, মিষ্টি কুমড়া, ডাল বাদামসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ছোট খাতা চোরের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন বসুন, পিয়াজ, বাদাম, তলিয়ে গেছে।

তিস্তা পাড়ের হকম আলী বলেন, তিস্তার পানি নিয়ে আমরা আন্দোলন করতে যাচ্ছি ঠিক তখনই ভারত পানি ছাড়ছে। কারণ এই মৌসুমে কখনো ভারত পানি ছাড়ে না। চর খরি বাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল সালাম বলেন, বিকেল থেকে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে।

তিস্তা ব্যারাজ এলাকার চরগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। তিস্তা পাড়ের জেলে কুরবান আলী বলেন, হঠাৎ চেষ্টার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়েছি।

তিস্তা পাড়ের কৃষক সোলেমান আলী বলেন, তিস্তার জেগে ওঠা চড়ে ১ বিঘা রসুন ও পিয়াজ আবাদ করছি। ভারত পানি ছাড়লে আমার ক্ষেতে পিয়াজ,ওসুন ডুবে আছে। এখন ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপ অপারেটর  নুরুল ইসলাম বলেন, ভারত থাকে পানির ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।কি পরিমান পানি আসবে তা বলা যাচ্ছে না।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডরে নির্বাহী প্রকৌশলী অমিভা চৌধুরী বলেন, হঠাৎ খরা মৌসুমে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার কৃষকদের ফসলের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি কমে গেছে আর ভয়ের কিছু নাই।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি শুনেছি। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা পারে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি চলতে থাকবেও চলবে।  

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১২:৫২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২২

হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি খরা মৌসুমে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট: ১২:৫২:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরবাসীদের বিভিন্ন ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। হঠাৎ খরা মৌসুমে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেগে থাকা বালু চরগুলো নিমিষেই তলিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব দাবি আদায়ে তিস্তা পাড়ে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।  

অপরদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে ব্যারাজের ৬ টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

শনিবার বিকেল ৩টার পর থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫০ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার বিকাল ৩ টাও৬টায় ৫০দশমিক ১০সেন্টিমিটার) রেকর্ড করা হয়েছে করা হযেছ।

পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা পাড়ের কৃষকরা আশঙ্কায় রয়েছেন। তিস্তার জেগে উঠা বালুচরে চাষ করা রসুন, পিয়াজ, মরিচ, তরমুজ, গম, মিষ্টি কুমড়া, ডাল বাদামসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ছোট খাতা চোরের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন বসুন, পিয়াজ, বাদাম, তলিয়ে গেছে।

তিস্তা পাড়ের হকম আলী বলেন, তিস্তার পানি নিয়ে আমরা আন্দোলন করতে যাচ্ছি ঠিক তখনই ভারত পানি ছাড়ছে। কারণ এই মৌসুমে কখনো ভারত পানি ছাড়ে না। চর খরি বাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল সালাম বলেন, বিকেল থেকে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে।

তিস্তা ব্যারাজ এলাকার চরগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। তিস্তা পাড়ের জেলে কুরবান আলী বলেন, হঠাৎ চেষ্টার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়েছি।

তিস্তা পাড়ের কৃষক সোলেমান আলী বলেন, তিস্তার জেগে ওঠা চড়ে ১ বিঘা রসুন ও পিয়াজ আবাদ করছি। ভারত পানি ছাড়লে আমার ক্ষেতে পিয়াজ,ওসুন ডুবে আছে। এখন ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপ অপারেটর  নুরুল ইসলাম বলেন, ভারত থাকে পানির ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।কি পরিমান পানি আসবে তা বলা যাচ্ছে না।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডরে নির্বাহী প্রকৌশলী অমিভা চৌধুরী বলেন, হঠাৎ খরা মৌসুমে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চর এলাকার কৃষকদের ফসলের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি কমে গেছে আর ভয়ের কিছু নাই।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি শুনেছি। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা পারে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি চলতে থাকবেও চলবে।