১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

শতবর্ষী সেই মরা, ঝুঁকিপূর্ণ গাছ ও গাছের ডাল অপসারণের নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দু’ধারে লাগানো শতবর্ষী সেই মরা, ঝুঁকিপূর্ণ গাছ ও গাছের ডালগুলো অবশেষে জরুরিভাবে অপসারণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হাইকোটে এ সংক্রান্ত একটি রিট থাকায় তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন সমাধান মিলছিল না। বর্তমানে জীবন হানির ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা পরিষদ যশোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত সোমবার এক পত্রে গাছগুলো দ্রুত অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাভারন হাইওয়ে থানার ওসি রোকনুজ্জামান রিপন।

তিনি মঙ্গলবার পত্র পেয়েছেন বলে গ্রামের সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।

জেলা পরিষদ যশোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, যশোর সড়ক বিভাগাধীন যশোর-বেনাপোল (এন-৭০৬) একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়ক। এই জাতীয় মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু শতবর্ষী মরাগাছ ও ঝুঁকিপূর্ণ ডাল-পালা রয়েছে। প্রায় সময় শতবর্ষী গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পথচারী নিহত আহত ও যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে।

চলতি বর্ষা মৌসূমে ঝড় ও বৃষ্টিপাতের ফলে যে কোন সময় উক্ত মরাগাছ ও গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে যে কোন দুর্ঘটনায় জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা পরিষদকে উক্ত মরাগাছ ও গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালা অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনেক বার বলা হলেও কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। বর্তমানে জীবন হানির ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে উক্ত মরাগাছ ও গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালা কর্তন, অপসারণ করে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো চত্ত্বরে সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

ঐতিহাসিক এই সব ঝুঁকিপূর্ণ শতবর্ষী মরা গাছ কেটে ফেলার জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদকে বিভিন্ন সময় শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা চিঠি দিয়েছেন।

সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার কোন রকম ঝড়বৃষ্টি বাদেই নাভারন বাজারের নিউমার্কেটের সামনের গাছের ডাল ভেঙে একটি চলন্ত ট্রাকের উপরে পড়ে কয়েকজন মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়। ট্রাকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ওইদিন যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.কাজী নাজিব হাসান আইন ও বিধি মোতাবেক এইসব গাছ অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.কাজী নাজিব হাসান বলেন, যশোর বেনাপোল মহাসড়কের পাশের শতবর্ষী ঝুকিপূর্ণ মরা গাছগুলো কিম্বা ডাল অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে নিয়মিত ফোন আসে। এই রাস্তাটি হাইওয়ে যশোর বিভাগের এবং গাছগুলো জেলা পরিষদের তাই উপজেলা প্রশাসনের এখানে করনীয় কিছু থাকে না।তদুপরি অভিযোগের পরিপেক্ষিতে জনস্বার্থে জেলা পরিষদের কাছে প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক মরা গাছগুলো ও ঝুকিপূর্ণ ডাল অপসারণের জন্য আবেদন করি।

তিনি বলেন, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যশোর বেনাপোল জাতীয় মহাসড়কের পার্শ্বস্থ সড়কের বেনাপোল হতে নাভারন পর্যন্ত অর্থাৎ উপজেলা অংশের সড়কের দুই পার্শ্বে ০৯টি মৃত গাছ এবং ৯৪টি গাছের ডালপালা ঝুঁকিপূর্ণ মর্মে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। যেকোন সময়ে এই গাছ বা গাছের ডাল পথচারী ও যানবাহনের উপর পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে।

মঙ্গলবার শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.কাজী নাজিব হাসান পত্রপ্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, এ সংক্রান্ত কাজগুলো করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৯:০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
৪৬

শতবর্ষী সেই মরা, ঝুঁকিপূর্ণ গাছ ও গাছের ডাল অপসারণের নির্দেশনা

আপডেট: ০৯:০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দু’ধারে লাগানো শতবর্ষী সেই মরা, ঝুঁকিপূর্ণ গাছ ও গাছের ডালগুলো অবশেষে জরুরিভাবে অপসারণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হাইকোটে এ সংক্রান্ত একটি রিট থাকায় তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন সমাধান মিলছিল না। বর্তমানে জীবন হানির ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা পরিষদ যশোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত সোমবার এক পত্রে গাছগুলো দ্রুত অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাভারন হাইওয়ে থানার ওসি রোকনুজ্জামান রিপন।

তিনি মঙ্গলবার পত্র পেয়েছেন বলে গ্রামের সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।

জেলা পরিষদ যশোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, যশোর সড়ক বিভাগাধীন যশোর-বেনাপোল (এন-৭০৬) একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়ক। এই জাতীয় মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু শতবর্ষী মরাগাছ ও ঝুঁকিপূর্ণ ডাল-পালা রয়েছে। প্রায় সময় শতবর্ষী গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পথচারী নিহত আহত ও যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে।

চলতি বর্ষা মৌসূমে ঝড় ও বৃষ্টিপাতের ফলে যে কোন সময় উক্ত মরাগাছ ও গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে যে কোন দুর্ঘটনায় জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা পরিষদকে উক্ত মরাগাছ ও গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালা অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনেক বার বলা হলেও কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। বর্তমানে জীবন হানির ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণকে উক্ত মরাগাছ ও গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালা কর্তন, অপসারণ করে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো চত্ত্বরে সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

ঐতিহাসিক এই সব ঝুঁকিপূর্ণ শতবর্ষী মরা গাছ কেটে ফেলার জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদকে বিভিন্ন সময় শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা চিঠি দিয়েছেন।

সর্বশেষ ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার কোন রকম ঝড়বৃষ্টি বাদেই নাভারন বাজারের নিউমার্কেটের সামনের গাছের ডাল ভেঙে একটি চলন্ত ট্রাকের উপরে পড়ে কয়েকজন মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়। ট্রাকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ওইদিন যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.কাজী নাজিব হাসান আইন ও বিধি মোতাবেক এইসব গাছ অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.কাজী নাজিব হাসান বলেন, যশোর বেনাপোল মহাসড়কের পাশের শতবর্ষী ঝুকিপূর্ণ মরা গাছগুলো কিম্বা ডাল অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে নিয়মিত ফোন আসে। এই রাস্তাটি হাইওয়ে যশোর বিভাগের এবং গাছগুলো জেলা পরিষদের তাই উপজেলা প্রশাসনের এখানে করনীয় কিছু থাকে না।তদুপরি অভিযোগের পরিপেক্ষিতে জনস্বার্থে জেলা পরিষদের কাছে প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক মরা গাছগুলো ও ঝুকিপূর্ণ ডাল অপসারণের জন্য আবেদন করি।

তিনি বলেন, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন যশোর বেনাপোল জাতীয় মহাসড়কের পার্শ্বস্থ সড়কের বেনাপোল হতে নাভারন পর্যন্ত অর্থাৎ উপজেলা অংশের সড়কের দুই পার্শ্বে ০৯টি মৃত গাছ এবং ৯৪টি গাছের ডালপালা ঝুঁকিপূর্ণ মর্মে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। যেকোন সময়ে এই গাছ বা গাছের ডাল পথচারী ও যানবাহনের উপর পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে।

মঙ্গলবার শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.কাজী নাজিব হাসান পত্রপ্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, এ সংক্রান্ত কাজগুলো করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।