১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

রাসুল পাক (সাঃ) এঁর কটুক্তিকারী কুখ্যাত মোজাম্মেল হককে গ্রেফতারের দাবীতে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ রাসুল পাক (সাঃ) এঁর কটুক্তিকারী কুখ্যাত মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার, বিচার ও ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঝিনাইদহের সর্বস্তরের তাওহিদী জনতা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মোঃ সাইদুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে, জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা মোঃ রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডাঃ হাফেজ মোঃ মমতাজুল করিম, ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল হোসেন বেলালী, কোষাধ্যক্ষ মাওলানা নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলনের থানা আমীর মাওলানা মোঃ কামাল উদ্দীন, মাওলানা ওবায়দুল্লা আল হাবিব, মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন ও মাওলানা হাসানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারি রেজিস্ট্রার কুখ্যাত মোজাম্মেল হককে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি এটা খুবই দুঃখজনক।

রাসুল পাক (সাঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত নবী ও রাসুল। তিনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানব। তাঁর ভালোবাসা ও অনুসরণ করা আমাদের ঈমান। কিয়ামতের কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর সুপারিশ সকল মুসলিমের প্রত্যাশা। তাঁর আকাশচুম্বী সম্মান ও মর্যাদায় কেউ সামান্যতম আঘাত করলে মুসলিমগণ জীবন দিয়ে হলেও তাঁর সম্মান রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকেন। তাঁর সুমহান চরিত্র নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্যকারী পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে না।

অথচ কুখ্যাত মোজাম্মেল হক মুসলিমদের কলিজার টুকরা রাসুল পাক (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্যের পরও তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনায় তাওহীদি জনতার মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঘটনার দিন মোজাম্মেল হক রাসুলপাক (সা) কে নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করলে এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এই ঘটনাটি প্রিন্ট মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে ঝিনাইদহসহ সারাদেশে উত্তেজনা বিরাজ করতে শুরু করে। ইতোমধ্যে তাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।

খতিব মোঃ সাইদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, কুখ্যাত এই মুজাম্মেল হককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে ইমাম পরিষদ ঝিনাইদহের পক্ষ থেকে গত ২৪ এপ্রিল ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার মহোদয় ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

কিন্তু প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ২৮ এপ্রিল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিণাকুণ্ডু আমলী আদালতে মুজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়নি। এদিকে এই নিয়ে তাওহীদি জনতার মধ্যে ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডাঃ হাফেজ মোঃ মমতাজুল করিম প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হোক তা আমরা কিছুতেই কামনা করছি না। কুখ্যাত মুজাম্মেল ছাড়াও তার সঙ্গে কারা কারা বা কোন চক্র জড়িত তাদের গ্রেফতার করা না হলে তাওহিদী জনতা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, মুজাম্মেলকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের নুন্যতম কোন শিথিলতা বা গাফরতি নেই। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে এবং অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। তিনি জানান, খুবই দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৮:৫১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
৩০

রাসুল পাক (সাঃ) এঁর কটুক্তিকারী কুখ্যাত মোজাম্মেল হককে গ্রেফতারের দাবীতে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: ০৮:৫১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ রাসুল পাক (সাঃ) এঁর কটুক্তিকারী কুখ্যাত মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার, বিচার ও ফাঁসির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঝিনাইদহের সর্বস্তরের তাওহিদী জনতা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মোঃ সাইদুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে, জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা মোঃ রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডাঃ হাফেজ মোঃ মমতাজুল করিম, ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল হোসেন বেলালী, কোষাধ্যক্ষ মাওলানা নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীন, ইসলামী আন্দোলনের থানা আমীর মাওলানা মোঃ কামাল উদ্দীন, মাওলানা ওবায়দুল্লা আল হাবিব, মাওলানা মোঃ রুহুল আমীন ও মাওলানা হাসানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারি রেজিস্ট্রার কুখ্যাত মোজাম্মেল হককে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি এটা খুবই দুঃখজনক।

রাসুল পাক (সাঃ) আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত নবী ও রাসুল। তিনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানব। তাঁর ভালোবাসা ও অনুসরণ করা আমাদের ঈমান। কিয়ামতের কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর সুপারিশ সকল মুসলিমের প্রত্যাশা। তাঁর আকাশচুম্বী সম্মান ও মর্যাদায় কেউ সামান্যতম আঘাত করলে মুসলিমগণ জীবন দিয়ে হলেও তাঁর সম্মান রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকেন। তাঁর সুমহান চরিত্র নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্যকারী পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে না।

অথচ কুখ্যাত মোজাম্মেল হক মুসলিমদের কলিজার টুকরা রাসুল পাক (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্যের পরও তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনায় তাওহীদি জনতার মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঘটনার দিন মোজাম্মেল হক রাসুলপাক (সা) কে নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করলে এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এই ঘটনাটি প্রিন্ট মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে ঝিনাইদহসহ সারাদেশে উত্তেজনা বিরাজ করতে শুরু করে। ইতোমধ্যে তাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে।

খতিব মোঃ সাইদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, কুখ্যাত এই মুজাম্মেল হককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে ইমাম পরিষদ ঝিনাইদহের পক্ষ থেকে গত ২৪ এপ্রিল ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার মহোদয় ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

কিন্তু প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ২৮ এপ্রিল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হরিণাকুণ্ডু আমলী আদালতে মুজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়নি। এদিকে এই নিয়ে তাওহীদি জনতার মধ্যে ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডাঃ হাফেজ মোঃ মমতাজুল করিম প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হোক তা আমরা কিছুতেই কামনা করছি না। কুখ্যাত মুজাম্মেল ছাড়াও তার সঙ্গে কারা কারা বা কোন চক্র জড়িত তাদের গ্রেফতার করা না হলে তাওহিদী জনতা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, মুজাম্মেলকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের নুন্যতম কোন শিথিলতা বা গাফরতি নেই। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে এবং অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। তিনি জানান, খুবই দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।