‘হাজী বিরিয়ানি’র বিরিয়ানি খেয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন হাসপাতালে
সাব্বির হোসেন,যশোর: যশোর শহরের ঘোপ সেন্টার রোডে অবস্থিত ‘হাজী বিরিয়ানি’ হোটেলের বিরিয়ানি খেয়ে এক পরিবারের তিন সদস্যসহ মোট পাঁচজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভুক্তভোগীরা বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী টিপু সুলতান (২৮), পিতা মৃত আতিয়া রহমান, গ্রামের বাড়ি রামকৃষ্ণপুর, ইছালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি জানান, গত ১৭ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে উক্ত হোটেলের বিরিয়ানি খাওয়ার পর থেকেই পেটব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। পরদিন রাত ৯টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একই অভিযোগ করেন শাহ আলম (৩০), যিনি যশোর সদর হাসপাতালের করোনা বিভাগের স্টাফ। তিনি জানান, বিরিয়ানি খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই প্রচণ্ড পেটব্যথা শুরু হয়। পরে ১৮ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে তিনিও হাসপাতালে ভর্তি হন।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটে বাচ্চু (৩৫), তার স্ত্রী সালেহা (২৭) এবং ছেলে জাহিদ হোসেন (১৩)-এর ক্ষেত্রে। একই পরিবারের তিনজনই একই হোটেলের বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা জানান, ১৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে ঘোপ নোয়াপাড়া রোডের হাজী বিরিয়ানি থেকে খাবার কিনে আনেন। পরদিন ১৮ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে তিনজনই একে একে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একমাত্র টিপু সুলতানের শারীরিক অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়, বাকিরা ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের প্রত্যক্ষ ভাষ্যমতে, কোতোয়ালি থানা এলাকার ঘোপ সেন্টার রোডে অবস্থিত ‘হাজী বিরিয়ানি’ হোটেল থেকেই তারা খাবার সংগ্রহ করেছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, এ হোটেলের খাদ্যমান দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, তবে এবার একসঙ্গে এতজন অসুস্থ হওয়ায় প্রশাসনিক তদন্তের দাবি উঠেছে।
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছেন বলে জানা গেছে।