সাব্বির হোসেন,যশোর: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যশোরের ৮ উপজেলায় ১০৬টি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জেলার প্রধান প্রধান ঈদগাহ ও মসজিদে ভোর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ভিড় জমতে শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যশোর সদর উপজেলায় ৪১টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রথম জামাত সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। জেলা মডেল মসজিদে যথাক্রমে সকাল ৮টা ৩০ মিনিট ও ৯টা ৩০ মিনিটে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রেল বাজার জামে মসজিদে সকাল ৭টা ও ৮টা ৩০ মিনিটে দুটি জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া, চাঁচড়া ডালমিল জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, কারবালা জামে মসজিদে সকাল ৭টা ১৫ মিনিট ও ৯টায়, ওয়াপদা কলোনি জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে, কোতোয়ালি জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে, উপশহর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এবং পুলিশ লাইন জামে মসজিদে সকাল ৮টা ও ৯টা ৩০ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জেলার অন্যান্য উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহগুলোর মধ্যে কেশবপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৯টায়, চৌগাছা কামিল মাদ্রাসা ঈদগাহে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে, ঝিকরগাছা বি এম হাই স্কুল ময়দানে সকাল ৮টায়, মণিরামপুর ফাজিল মাদ্রাসা ঈদগাহে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে, বাঘারপাড়ার দোহাকুলা বাজার ঈদগাহে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে, অভয়নগরের নওয়াপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এবং শার্শার বেনাপোল বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও বিভিন্ন গ্রাম ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকল মুসল্লিদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঈদগাহে পৌঁছানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নামাজের জামাত নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে, তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে মসজিদে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সকল মুসল্লিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদগাহে উপস্থিত হয়ে শৃঙ্খলার সাথে ঈদের নামাজ আদায় করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঈদের জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।