জেলার খবর, ঢাকা বিভাগ, ফরিদপুর | তারিখঃ জুলাই ২, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4326 বার
সনতচক্রবর্ত্তীঃ ফরিদপুর জেলার কাঁচা মরিচের দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জেলার বিভিন্ন বাজার ও কাঁচা মরিচের প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে ২০০ টাকার কম কেজি ধরে বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের এমন দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
রবিবার(২.৭.২৩) জেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে দেখা যায়।
কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধিতে জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায় এবং জেলার কাঁচা বাজারে মরিচ বেচা-বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিন আগেও ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। ঈদের আগে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। বিক্রেতারা বলছেন, বছরের শুরুতে প্রচণ্ড খরা, এখন অধিক বৃষ্টির কারণে ফলন বিপর্যয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে।
সকালে জেলার ঠাকুরপুর মোড় বাজারে গিয়ে কথা হয় ক্রেতা রিজাউল সেখের সঙ্গে। তিনি জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম শুনলে কেনার সাধ মিটে যায়। আগে যেখানে ২০ টাকার মরিচ কিনলে আড়াইশ গ্রাম পেতাম, সেখানে এখন ১৫০ টাকা দিয়ে আড়াইশ গ্রাম নিতে হচ্ছে। বাজারে সব থেকে এখন দামি পণ্য কাঁচা মরিচ।
পাশেই দাঁড়ানো মঞ্জুর হোসেন বলেন, কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেশি। প্রয়োজনে কাঁচা মরিচ ছাড়াই রান্না হবে। এত দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কেনা আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। পরে তিনি কাঁচা মরিচ ছাড়া বাকি তরিতরকারি নিয়ে চলে যান।
উপজেলার বোয়ালমারী বাজারে কয়েকজন কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে মরিচের চাষ কম হওয়ায় এবং চাহিদা অনুযায়ী বাইরে থেকে আমদানি কম হওয়ায় কাঁচা মরিচের বাজার এতটা বেড়ে গেছে। তারা আরো জানান, মাগুড়া,রাজবাড়ী গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার নানা স্থান থেকে আমরা কাঁচা মরিচ আমদানি করে থাকি। এখন আর
আমদানি করাও সম্ভব হচ্ছে না। সেখানেই দাম বেশি। মরিচের সিজন শেষ পর্যায়ে। এ সময় এমনিতেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা কাঁচা বাজারের সামনে কথা হয় বাজার করতে আসা রিপন সিকদারের সাথে তিনি বলেন, মরিচের কেজি প্রায় ৪০০ টাকা। সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্ধ্বমুখি। এভাবে সকল পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক তাদের বাজার করে খেয়ে বেঁচে থাকার মত অবস্থা নেই।