খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ অক্টোবর ৬, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2794 বার
বি.এম বিল্লাল হোসেন ,রাজগঞ্জ।। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালিন সবজি। বৃষ্টির অজুহাতে দামে আগুন। এখনও শীত আসেনি তবে বাজারে চলে এসেছে শিম, ফুলকপি, পাতাকপি, মূলাসহ প্রায় সবধরনের শীতের সবজি।
এদিকে নতুন সবজির প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি আকর্ষণ থাকলেও আকাশছোঁয়া দামের ফলে ধারে-কাছেও যেতে পারছে না মধ্য-নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
শনিবার বিকালে রাজগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সবজি শিমের দাম দোকানভেদে চাওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। ফুলকপি ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যে কারণে দামটা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু বেশি। রাজগঞ্জ বাজারে শিম, ফুলকপি, পাতাকপি, মূলা, ঢেঁড়সসহ প্রায় সব ধরনের শীতের সবজির দেখা মিলছে। রয়েছে বেগুন, পটল, ঝিঙা, করলা, টমেটো, শসা, গাজরসহ অন্যান্য সবজিও। সব সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম আগের মতোই বেশ চড়া। ফলে সবজির বাজারে এসে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের। বিক্রেতাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, অধিকাংশ সবজির দাম শুরু হচ্ছে ৬০, ৭০, ৮০ ও ৯০ টাকায়। নতুন ফুলকপি কেজি ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, বেগুন জাতভেদে ১১০-১২০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, কাঁচকলা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পিছিয়ে নেই শসা-গাজরের দামও। দেশি শসা ৫০-৬০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০-৭০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি আদা ২০০ টাকা, দেশি রসুন ২২০-২৩০ টাকা এবং শুকনো দেশি লাল মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলেন, বাজারে প্রায় সব সবজির দাম ৫০-৬০ টাকার ওপরে। সবজির এত দাম হলে স্বস্তি মেলে কী করে? সবজিতে বাজার ভরপুর। অথচ দামের বেলায় মনে হয় এগুলো বিরল প্রজাতির সবজি। দু-তিন রকম সবজি কিনলেই এক-দেড়শো টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। মাছ-মাংস বাদ দিয়ে সবজি কিনে খাব তারও উপায় নেই। মোটকথা আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ খুব কষ্টে আছে। তারা আরো বলেন, বর্তমান বাজারে আমাদের মতো ব্যাচেলর শিক্ষার্থীরা খুবই কষ্টে আছে। কোনো কিছুরই দাম স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। কোনো ভাবেই মিলরেট (খাবার খরচ) ১০০ টাকার নিচে আসে না, যেখানে আগে অনেক ভালো খেয়েও ৫০/৬০ টাকার বেশি হতো না। সব কিছুর দাম বাড়লেও তো আমাদের আয়ের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।