০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে ‘সরকারি সম্পদের অপব্যবহার’: দেড় বছর ধরে অকেজো সোলার লাইট,নোংরা টয়লেটে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ চরমে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:১৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • /

নুরতাজ আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।। চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আট তলা ভবনটিতে চলছে চরম অব্যবস্থাপনা ও সরকারি সম্পদের প্রতি দীর্ঘদিনের অবহেলা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা বলছেন আসামিদের স্বজন,সাধারণ বিচারপ্রার্থী জনগণ এবং কোর্টের নিয়মিত কর্মচারী (উকিল সহকারী,পেশকার) যারা টয়লেট ব্যবহার করেন,তাদের কাছ থেকে বর্তমান অবস্থা ও ভোগান্তির বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য নিয়ে। দেড় বছর আগে কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে যাওয়া সোলার লাইটিংগুলো এখনও মেরামতবিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, বিচারপ্রার্থী জনগণ ও বিচারাধীন আসামিদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটগুলো অপরিষ্কার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকায় প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও দুর্ভোগ। সচেতন নাগরিক মহল এই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়ের এমন বেহাল দশা দেখে দ্রুত দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন কর্মরত বিচারকদের প্রতি।

অন্যদিকে আদালত ভবনের নিচে অবস্থিত ইলেকট্রিশিয়ান কন্ট্রোল রুমের ছাদের উপরেই দেড় বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের সোলার লাইটিং এর সরঞ্জাম। গত বছরের কালবৈশাখী ঝড়ের পর থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদগুলো এভাবেই খোলা আকাশের নিচে অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকায় একদিকে যেমন সরকারি সম্পদের অপচয় হচ্ছে, তেমনি আদালতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতের বেলা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আলোর ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।

সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন, কেন সরকারি কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে কেনা এই সম্পদগুলো এতোদিন ধরে মেরামত বা সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলো না?

অস্বাস্থ্যকর টয়লেটে চরম দুর্ভোগ আট তলা আদালত ভবনের টয়লেটগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বিশেষ করে হাজিরা দিতে আসা আসামি এবং দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থী সাধারণ জনগণ এই অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিচারাধীন আসামিদের সমাগম: এজলাসে আনা-নেওয়ার সময় আসামিদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত টয়লেটগুলোতে পরিচ্ছন্নতার অভাব চরম পর্যায়ে। এতে সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

সাধারণ বিচারপ্রার্থী: নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ অপরিষ্কার টয়লেট ব্যবহার করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টির অভাব: প্রতিদিন শত শত মানুষের আনাগোনা সত্ত্বেও আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে দৃষ্টি নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।

দ্রুত পরিচ্ছন্নতা ও বাস্তবায়নের দাবি সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন,যেখানে ন্যায়বিচারের জন্য মানুষ আসেন, সেই আদালতের পরিবেশ যদি অস্বাস্থ্যকর হয়,তবে তা পুরো বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিই হতাশা তৈরি করে। তারা দ্রুত পরিচ্ছন্ন ও সম্পদ রক্ষাযর বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন: বিশেষ করে তাৎক্ষণিক পরিচ্ছন্নতা: টয়লেটগুলো আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা। সম্পদ সংরক্ষণ: কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে যাওয়া সোলার লাইটিংগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করে পুনরায় চালু করা বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি।

Please Share This Post in Your Social Media

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে ‘সরকারি সম্পদের অপব্যবহার’: দেড় বছর ধরে অকেজো সোলার লাইট,নোংরা টয়লেটে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ চরমে

আপডেট: ০৭:১৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

নুরতাজ আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।। চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আট তলা ভবনটিতে চলছে চরম অব্যবস্থাপনা ও সরকারি সম্পদের প্রতি দীর্ঘদিনের অবহেলা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা বলছেন আসামিদের স্বজন,সাধারণ বিচারপ্রার্থী জনগণ এবং কোর্টের নিয়মিত কর্মচারী (উকিল সহকারী,পেশকার) যারা টয়লেট ব্যবহার করেন,তাদের কাছ থেকে বর্তমান অবস্থা ও ভোগান্তির বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য নিয়ে। দেড় বছর আগে কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে যাওয়া সোলার লাইটিংগুলো এখনও মেরামতবিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, বিচারপ্রার্থী জনগণ ও বিচারাধীন আসামিদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটগুলো অপরিষ্কার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকায় প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও দুর্ভোগ। সচেতন নাগরিক মহল এই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়ের এমন বেহাল দশা দেখে দ্রুত দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন কর্মরত বিচারকদের প্রতি।

অন্যদিকে আদালত ভবনের নিচে অবস্থিত ইলেকট্রিশিয়ান কন্ট্রোল রুমের ছাদের উপরেই দেড় বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের সোলার লাইটিং এর সরঞ্জাম। গত বছরের কালবৈশাখী ঝড়ের পর থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদগুলো এভাবেই খোলা আকাশের নিচে অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকায় একদিকে যেমন সরকারি সম্পদের অপচয় হচ্ছে, তেমনি আদালতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতের বেলা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আলোর ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।

সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন, কেন সরকারি কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে কেনা এই সম্পদগুলো এতোদিন ধরে মেরামত বা সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলো না?

অস্বাস্থ্যকর টয়লেটে চরম দুর্ভোগ আট তলা আদালত ভবনের টয়লেটগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বিশেষ করে হাজিরা দিতে আসা আসামি এবং দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থী সাধারণ জনগণ এই অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিচারাধীন আসামিদের সমাগম: এজলাসে আনা-নেওয়ার সময় আসামিদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত টয়লেটগুলোতে পরিচ্ছন্নতার অভাব চরম পর্যায়ে। এতে সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

সাধারণ বিচারপ্রার্থী: নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ অপরিষ্কার টয়লেট ব্যবহার করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টির অভাব: প্রতিদিন শত শত মানুষের আনাগোনা সত্ত্বেও আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে দৃষ্টি নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।

দ্রুত পরিচ্ছন্নতা ও বাস্তবায়নের দাবি সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন,যেখানে ন্যায়বিচারের জন্য মানুষ আসেন, সেই আদালতের পরিবেশ যদি অস্বাস্থ্যকর হয়,তবে তা পুরো বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতিই হতাশা তৈরি করে। তারা দ্রুত পরিচ্ছন্ন ও সম্পদ রক্ষাযর বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন: বিশেষ করে তাৎক্ষণিক পরিচ্ছন্নতা: টয়লেটগুলো আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা। সম্পদ সংরক্ষণ: কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে যাওয়া সোলার লাইটিংগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করে পুনরায় চালু করা বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি।