আব্দুল্লাহ আল-মামুন : যশোরের ৩২ মামলার আসামি সন্ত্রাসী‌দের গুরু রমজান হত্যা মামলায় আটক পিচ্চি রাজা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। স্ত্রী রানী ও কানা বাশারকে ইয়াবাসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়ায় রমজানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে ১০ থেকে ১২জন জড়িত বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আসামি পিচ্চি রাজা শহরের রেলগেট কলাবাগান এলাকার মুজিবর ওরফে জাহাঙ্গীরের ছেলে।

পিচ্চি রাজা জানিয়েছে, তার স্ত্রী রানী ও তুহিনের পিতা আবুল বাশার ওরফে কানা বাশারকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয় রমজান ও তার লোকজন। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে রমজানকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার দিন কুদরত, তুহিন, হিল্লাল, বিল্লাল, ভাগ্নে হৃদয়, রকি, শুভ, ট্যাটু সুমনসহ কয়েকজন রমজানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে রাজা শুনেছে রমজান মারাগেছে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ৮ মার্চ রাতে রেলগেট পশ্চিম পাড়ায় শ্বশুরবাড়ির কাছে খুন হয় ৩২ মামলার আসামি সন্ত্রাসী রমজান। তারই এক সময়ের সহযোগী পিচ্চি রাজা দলবল নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের মা রেখা খাতুন বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই কামাল হোসেন জানিয়েছেন, রমজান হত্যা মামলায় আটক ৫ আসামিকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। এদের মধ্যে প্রধান আসামি পিচ্চি রাজা হত্যার সাথে জড়িত ও অপর জড়িতদের নাম উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক আসামি পিচ্চি রাজাসহ পটকে শাওন, তুহিন, ট্যাটু সুমন ও ইবাদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এদিকে, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আটক পিচ্চি রাজার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেছে র‌্যাব। সোমবার রাতে র‌্যাবের ডিএডি শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় এ মামলা করেছেন। আটক পিচ্চি রাজার স্বীকারোক্তিতে শহরের চোরমারা দিঘীর পাড় এলাকার একটি পতিত জমির কচু ক্ষেতের ভিতর থেকে একটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, ৪ রাউন্ড গুলি, একটি টিপ চাকু, তিনটি কুড়াল, একটি ছোরা ও দা উদ্ধার করা হয়।