নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার করার জন্য ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচদিনের জন্য ৬৫৩ জন বিচারিক হাকিম মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের কাছে রিকুইজিশন দিয়েছি। ওনারা কাজ করবেন পাঁচদিন। ভোটের আগে দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে আরও দুদিন।

তিনি বলেন, গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধ্বংস করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া বা বাধ্য করা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা, এই সমস্ত অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন। এই দণ্ডগুলো একটু বেশি, তিন থেকে সাত বছর আছে।

৩০০ নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির বিষয়ে ইসির এই যুগ্ম সচিব বলেন, জুডিশিয়াল অফিসার নিয়োগ হয়েছে নির্বাচনি তদন্ত কমিটিতে। গত সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিয়ে ওনারা নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন।

মো. মাহবুবার রহমান সরকার বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তারা তদন্ত করে শুধু রিপোর্ট দিতে পারবেন। কমিশন যদি বলে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে, আপনারা রিপোর্ট দেবেন। তারা তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। কমিশন তা পর্যালোচনা করে প্রার্থী, ব্যক্তি বা দলকে দণ্ড দিতে পারে। এই কমিটির ফলে আচরণ বিধি লঙ্ঘন কমবে।

তিনি আরো বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিটি ছিল ১২২টি। এবার ৩০০ আসনে ৩০০টি। আগে বিচারিক কর্মকর্তারা যারা আসতেন, তারা বিচারিক অফিসও করতেন। এবার কমিশনের অনুরোধে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ফুলটাইমের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। সব সময় এই কাজই করবেন। আশা করি, বিধি লঙ্ঘন হলে ওনারা আইনানুগভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন। তারা অলরেডি মাঠে আছেন। ফুল ফেইজে কাজ করবেন রবিবার (২৬ নভেম্বর) থেকে।

বাড়তি কর্মকর্তা নিয়োগের কারণ কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে দেখা যেত মাঠে সব সময় তাদের পাওয়া যায় না, আলাদতের কাজ শেষ করে এটার জন্য এক্সট্রা কাজ করতেন। তাই এবার ৩০০ করা হয়েছে এবং তাদের ফুলটাইম ডিউটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী সোমবার থেকে তিনদিনে তাদের ট্রেনিং হবে। প্রতিদিন ১০০ জন করে থাকবেন।