০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

রাজগঞ্জের হাট-বাজারে জৈষ্ঠের গরমের দিনে তালের শাঁস বিক্রির ধুম

নিউজ ডেস্ক

বি.এম বিল্লাল হোসেন,রাজগঞ্জ।। চলছে মধুমাস জৈষ্ঠ্য, এই মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু ফল।

ফলের তালিকায় রয়েছে আম, জাম, কাঠাল, লিচু ছাড়াও তালের শাঁস। এটি খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষায় এটি ‘তালকুই’ নামেই বেশি পরিচিত। জৈষ্ঠের গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও স্বস্তি এনে দিচ্ছে এই কচি তালের শাঁস। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে রাস্তার পাশে এখন বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। ছোট বড় প্রকার ভেদে প্রতিটির দাম ০৮ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আম ও লিচুসহ মৌসুমি অন্য ফলের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু তালের শাঁসে এসবের প্রয়োজন হয় না। ফলে ভেজালমুক্ত তাল শাঁসের কদর বেশি।

উপজেলার রাজগঞ্জের হাট বাজারে তাল ব্যবসায়ী মোঃ জসীম উদ্দীন ও মনা বলেন- গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাল গাছের মালিকের কাছ থেকে পাইকারীর তাল ক্রয় করে গাছ থেকে পেড়ে এনে তাল শাঁস ভাগাসহ পার্শবর্তী হাটে ও মোড়ে মোড়ে বিক্রি করি আমরা। তারা বলেন- প্রচণ্ড গরম থাকায় তালের শাঁসের চাহিদা রয়েছে বেশি। বড় তাল প্রতি পিস ১০ টাকা করি এবং আবার ছোট তালের বিচির শাঁস ৮ টাকা। বাজরের তাল ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীন বলেন- তাল গাছ থেকে ফল কেটে আনা একটি কষ্টকর বিষয়। অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়। একটি গাছে ২০০ থেকে ২৫০টি তাল পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিক্রি শুরু হয়, চলে পুরো মাস জুড়ে। প্রতি পিস তাল কিনতে হয় প্রকারভেদে ২ থেকে ৩ টাকায়। বিক্রি করেন ১০ টাকা। তিনি আরো জানান- গত সাত দিন ধরে বিক্রি করছি। প্রতিদিন বিক্রি হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। এতে দৈনিক লাভ হয় পাঁচ শ’ থেকে সাত শ’ টাকা। মোবারকপুর থেকে তালের শাঁস কিনতে আসা অমল বিশ্বাস বলেন- তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। প্রচণ্ড গরমে তালের শাঁস খেতে ভালই লাগে। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দূর করে।

এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ বি সি সহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৯:০২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
৩১

রাজগঞ্জের হাট-বাজারে জৈষ্ঠের গরমের দিনে তালের শাঁস বিক্রির ধুম

আপডেট: ০৯:০২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

বি.এম বিল্লাল হোসেন,রাজগঞ্জ।। চলছে মধুমাস জৈষ্ঠ্য, এই মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু ফল।

ফলের তালিকায় রয়েছে আম, জাম, কাঠাল, লিচু ছাড়াও তালের শাঁস। এটি খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষায় এটি ‘তালকুই’ নামেই বেশি পরিচিত। জৈষ্ঠের গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও স্বস্তি এনে দিচ্ছে এই কচি তালের শাঁস। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে রাস্তার পাশে এখন বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। ছোট বড় প্রকার ভেদে প্রতিটির দাম ০৮ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আম ও লিচুসহ মৌসুমি অন্য ফলের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু তালের শাঁসে এসবের প্রয়োজন হয় না। ফলে ভেজালমুক্ত তাল শাঁসের কদর বেশি।

উপজেলার রাজগঞ্জের হাট বাজারে তাল ব্যবসায়ী মোঃ জসীম উদ্দীন ও মনা বলেন- গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাল গাছের মালিকের কাছ থেকে পাইকারীর তাল ক্রয় করে গাছ থেকে পেড়ে এনে তাল শাঁস ভাগাসহ পার্শবর্তী হাটে ও মোড়ে মোড়ে বিক্রি করি আমরা। তারা বলেন- প্রচণ্ড গরম থাকায় তালের শাঁসের চাহিদা রয়েছে বেশি। বড় তাল প্রতি পিস ১০ টাকা করি এবং আবার ছোট তালের বিচির শাঁস ৮ টাকা। বাজরের তাল ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীন বলেন- তাল গাছ থেকে ফল কেটে আনা একটি কষ্টকর বিষয়। অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়। একটি গাছে ২০০ থেকে ২৫০টি তাল পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিক্রি শুরু হয়, চলে পুরো মাস জুড়ে। প্রতি পিস তাল কিনতে হয় প্রকারভেদে ২ থেকে ৩ টাকায়। বিক্রি করেন ১০ টাকা। তিনি আরো জানান- গত সাত দিন ধরে বিক্রি করছি। প্রতিদিন বিক্রি হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। এতে দৈনিক লাভ হয় পাঁচ শ’ থেকে সাত শ’ টাকা। মোবারকপুর থেকে তালের শাঁস কিনতে আসা অমল বিশ্বাস বলেন- তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। প্রচণ্ড গরমে তালের শাঁস খেতে ভালই লাগে। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দূর করে।

এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ বি সি সহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।