স্বপন বিশ্বাস, শালিখা মাগুরাঃ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) ছোয়ায় বদলে গেছে শালিখা উপজেলার মানুষের জীবন-যাত্রার মান। গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এলজিইডি। নতুন সড়ক, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ সহ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এ পরিবর্তন।

সরকারের দেড় দশকে যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের কারণে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা পৌছে যাচ্ছে শালিখা উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের মানুষের হাতে। এলজিইডি’র দেয়া তথ্য অনুসরে গত ১৫ বছরে নির্মাণ করেছে ২৮৫ কিমি পাকা রাস্তা এবং বিদ্যমান সড়ক সংস্কার করেছে। নির্মাণ করেছে ৯টি বৃহৎ ব্রীজ ও ১৬৯টি কালভার্ট। ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ৭টি, গ্রোথ সেন্টার ৪টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষা ৯৪টি, খাল খনন ৪টি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ একটি, হাটবাজার উন্নয়ন ১৩টি, সুইচ গেট, রাবার ড্যাম্প, রেগুলেটর ২টি, ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ৭৫০ হেক্টর সহ ৫০টিরও বেশী মসজিদ, মন্দির, শ্মশান, ঈদগাহ ও কবরস্থানের উন্নয়ন।

এ ব্যপারে এলজিইডি’র শালিখা উপজেলা প্রকৌশলী শোহেব মোহাম্মদ জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০৪১ কে সামনে রেখে মাগুরা ২ আসনের এমপি ড শ্রী বীরেন শিকদারের নির্দেশনা পরামর্শ মোতাবেগ আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে শালিখা উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মানাধীন রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সীমানা প্রাচীর ও নতুন ভবন নির্মাণ, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজে প্রায় শত কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। বিগত ১৫ অর্থবছরে নতুন সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে প্রায় ৩৯৯ কোটি টাকা ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় প্রায় ৬ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যহত আছে এবং থাকবে।

এ ব্যাপারে শালিখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড কামাল হোসেন বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেই এলাকার শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশে প্রথম শিক্ষা পার্ক স্থাপন করেছি।