০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫

ঝাঁপা মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয়ের মৌলভী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক

আনিছুর রহমান:- ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কুক্ষিগত করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গ্রামে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে উপার্জন করা অর্থে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা মণিরামপুর উপজেলার শহীদ স্মরণী ঝাঁপা মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয়ের মৌলভী শিক্ষক মতিয়ার রহমান এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী অভিভাক ও স্থানীয়রা মানববন্ধন করেন এবং আইনগত ব‍্যবস্থার জন‍্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। যা ইলেকট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ফলোয়াভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

অথচ আজ পর্যন্ত ওই শিক্ষকের কোন ব‍্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। ফলে স্থানীয়রা ওই র্দূনীতিবাজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত সকল প্রকার অভিযোগ তদন্ত পূর্বক অবৈধ পথে অর্জিত অর্থে উৎস ও অঢেল সম্পদের তথ‍্য উৎঘাটন করে আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহনের জন‍্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও র্দূনীতি দমন কমিশনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় ক্ষমতাধর মৌলভী শিক্ষক মতিয়ার রহমানের অবৈধ পথে উপাজিত অর্থের উৎস হলো উক্ত প্রতিষ্ঠানে কয়েক জনের নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকা উপার্জন ও বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের কুক্ষিগত করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এছাড়া প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে গ্রামে প্রভাব খাটিয়ে দালালী বাটপাড়ী করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করা।

এই সকল অবৈধ পথে উপাজিত অর্থে ক্রয়কৃত অঢেল সম্পদের মধ‍্য রয়েছে ঝাঁপা মৌজার সিএস ও এসএ ১৩৫,১৬৮,১৭০, ২২৬, ২৯৮, ২৯৯, ৩৪৪, ৩৫০,৩০৮৩,৩০৯৪সহ মোট ২০টি দাগে ২৫ বিঘা জমি। এছাড়াও রয়েছে একটি ৪ শতক জমির উপর একতলা ভবন ও যশোরে রয়েছে প্রায় কোটি টাকায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মৌলভী শিক্ষক মতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, নিয়োগের বিষয় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির হাতে থাকে সেখানে আমার কিছু করার থাকে না।আর অঢেল সম্পদের মালিকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পৈত্রিক সূত্রে সাত আট বিঘা সম্পত্তি ছিল। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে বর্তমানে১৬/১৭ বিঘা জমি রয়েছে। আর কোমলপুর বাজারে দেড় কাঠা জমির উপরে একটা একতলা ভবন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। পূর্বে যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন, তিনিই ভালো জানেন। কারণ তিনিই নিয়োগ দিয়ে গেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৬:২৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
৫০

ঝাঁপা মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয়ের মৌলভী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ

আপডেট: ০৬:২৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

আনিছুর রহমান:- ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কুক্ষিগত করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গ্রামে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে উপার্জন করা অর্থে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা মণিরামপুর উপজেলার শহীদ স্মরণী ঝাঁপা মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয়ের মৌলভী শিক্ষক মতিয়ার রহমান এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী অভিভাক ও স্থানীয়রা মানববন্ধন করেন এবং আইনগত ব‍্যবস্থার জন‍্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। যা ইলেকট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ফলোয়াভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

অথচ আজ পর্যন্ত ওই শিক্ষকের কোন ব‍্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। ফলে স্থানীয়রা ওই র্দূনীতিবাজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত সকল প্রকার অভিযোগ তদন্ত পূর্বক অবৈধ পথে অর্জিত অর্থে উৎস ও অঢেল সম্পদের তথ‍্য উৎঘাটন করে আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহনের জন‍্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও র্দূনীতি দমন কমিশনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় ক্ষমতাধর মৌলভী শিক্ষক মতিয়ার রহমানের অবৈধ পথে উপাজিত অর্থের উৎস হলো উক্ত প্রতিষ্ঠানে কয়েক জনের নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকা উপার্জন ও বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের কুক্ষিগত করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এছাড়া প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে গ্রামে প্রভাব খাটিয়ে দালালী বাটপাড়ী করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করা।

এই সকল অবৈধ পথে উপাজিত অর্থে ক্রয়কৃত অঢেল সম্পদের মধ‍্য রয়েছে ঝাঁপা মৌজার সিএস ও এসএ ১৩৫,১৬৮,১৭০, ২২৬, ২৯৮, ২৯৯, ৩৪৪, ৩৫০,৩০৮৩,৩০৯৪সহ মোট ২০টি দাগে ২৫ বিঘা জমি। এছাড়াও রয়েছে একটি ৪ শতক জমির উপর একতলা ভবন ও যশোরে রয়েছে প্রায় কোটি টাকায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মৌলভী শিক্ষক মতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, নিয়োগের বিষয় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির হাতে থাকে সেখানে আমার কিছু করার থাকে না।আর অঢেল সম্পদের মালিকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার পৈত্রিক সূত্রে সাত আট বিঘা সম্পত্তি ছিল। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে বর্তমানে১৬/১৭ বিঘা জমি রয়েছে। আর কোমলপুর বাজারে দেড় কাঠা জমির উপরে একটা একতলা ভবন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। পূর্বে যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন, তিনিই ভালো জানেন। কারণ তিনিই নিয়োগ দিয়ে গেছেন।