রাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে আত্নহত্যা করেছে বলে অভিযোগ
আনিছুর রহমান: নির্যাতন সইতে না পেরে এক প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে বেঁধে আত্নহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামে।
স্থানীয় ও নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গালদা গ্রামের আব্দুল মুমিনের কন্যা খাদিজা খাতুনকে প্রায় দশ বছর পূর্বে একই উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী আরিফ হোসেন বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সুখ শান্তিতে তারা বসবাস করে আসলেও প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে প্রবাসী স্বামী আরিফ ও শশুর মশিয়ার রহমান খাদিজা খাতুনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। এ সকল বিষয় নিয়ে প্রবাসী আরিফের বাড়ি কয়েকবার শালীর বৈশিষ্ট্য বসেছে। এক পর্যায়ে গত বছর আরিফ প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেয়। কয়েক মাস পরে বাড়ি এসে আরিফ পুনরায় তার স্ত্রীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিছুদিন পর আবার সিঙ্গাপুর চলে যায় আরিফ। এরপরেও প্রবাসে থেকে তার স্ত্রীর উপর মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকে এবং বাড়িতে শ্বশুরও একই অবস্থা করতে থাকে। এসব যন্ত্রনা সইতে না পেরে ২৯ এপ্রিল সকাল ৯ টায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে খাদিজা খাতুন নিজের ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে প্রবাসী-আরিফের পিতা মশিউর রহমান বলেন আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না সেই ফাঁকে বৌমা গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া আমি কিছুই জানিনা। বিষয়টি নিয়ে নিহত খাদিজার মামাতো ভাই শামিম ও তার চাচারা জানাই আমাদের বোন বা মেয়ে নিজে গলায় দড়ি দিতে পারে না তাকে এমন পরিমাণ নির্যাতন করা হয়েছে যে সে সহ্য করতে না পেরে নিজেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এর সুষ্ট বিচার চাই।
তারা আরো বলেন উভয় পরিবার পূর্বের আত্মীয় সম্পর্ক। তারা স্বামী-স্ত্রী ছিল মামাতো ফুফাতো ভাই বোন। যার কারণে বিয়ের পর হাজার ঘটনা ঘটে গেলেও সেটি বাইরে প্রচার হয়নি বা জানতে দেয়নি। এ বিষয়ে তদন্ত কেন্দ্রের এসআই হেলাল উদ্দিন বলেন, লাশটি সুরতহাল/ প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে লাশের গলায় দাগ রয়েছে এবং পিঠে রক্ত জমাট একটা দাগ পাওয়া গেছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।