০৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

তুরস্কসহ ছয় দেশকে ইরানের হুমকি, ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা

নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ—ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করেছে ইরান। সতর্ক বার্তায় বলা হয়, এসব দেশ যদি মার্কিন সামরিক অভিযানে সহায়তা করে—বিশেষ করে নিজেদের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেয়—তাহলে তাদেরকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। খবর রয়টার্সের।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযানের হুমকি দেওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া এসেছে।

এ পরিস্থিতিতে ইরান সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করেছে এবং নিজেদের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান দৃঢ় করেছে। এতে করে পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আরব উপসাগরীয় দেশগুলো এখন এক জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে। একদিকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, অপরদিকে মার্কিন হামলায় সহায়তা দিলে ইরানের প্রতিশোধের ঝুঁকিও আছে। এই অঞ্চল বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এখানকার প্রতিটি সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও ইরান জানিয়েছে, তারা ওমানের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ সংলাপ চালিয়ে যেতে চায়। এক ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, পরোক্ষ আলোচনায় আমরা জানতে পারব যুক্তরাষ্ট্র আদৌ একটি রাজনৈতিক সমাধানে আগ্রহী কি না। যুক্তরাষ্ট্র যদি আন্তরিকতা দেখায়, তাহলে শিগগিরই এ ধরনের সংলাপ শুরু হতে পারে।

এ আলোচনায় ইরানের প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বা তার উপমন্ত্রী মজিদ তাখত-রাভানচির নাম বিবেচনায় আনা হতে পারে। তবে ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন, এই পথ সহজ হবে না, বরং তা হতে পারে জটিল ও অনিশ্চিত।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০২:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
৩৪

তুরস্কসহ ছয় দেশকে ইরানের হুমকি, ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা

আপডেট: ০২:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ—ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করেছে ইরান। সতর্ক বার্তায় বলা হয়, এসব দেশ যদি মার্কিন সামরিক অভিযানে সহায়তা করে—বিশেষ করে নিজেদের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেয়—তাহলে তাদেরকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। খবর রয়টার্সের।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযানের হুমকি দেওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া এসেছে।

এ পরিস্থিতিতে ইরান সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করেছে এবং নিজেদের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান দৃঢ় করেছে। এতে করে পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আরব উপসাগরীয় দেশগুলো এখন এক জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে। একদিকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, অপরদিকে মার্কিন হামলায় সহায়তা দিলে ইরানের প্রতিশোধের ঝুঁকিও আছে। এই অঞ্চল বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এখানকার প্রতিটি সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও ইরান জানিয়েছে, তারা ওমানের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ সংলাপ চালিয়ে যেতে চায়। এক ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, পরোক্ষ আলোচনায় আমরা জানতে পারব যুক্তরাষ্ট্র আদৌ একটি রাজনৈতিক সমাধানে আগ্রহী কি না। যুক্তরাষ্ট্র যদি আন্তরিকতা দেখায়, তাহলে শিগগিরই এ ধরনের সংলাপ শুরু হতে পারে।

এ আলোচনায় ইরানের প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বা তার উপমন্ত্রী মজিদ তাখত-রাভানচির নাম বিবেচনায় আনা হতে পারে। তবে ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন, এই পথ সহজ হবে না, বরং তা হতে পারে জটিল ও অনিশ্চিত।