গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে ঢাকার চারটি প্রবেশ মুখেই অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

ধোলাইখাল, উত্তরা, মাতুয়াইল এবং গাবতলীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধোলাইখালে পুলিশের বাধার পর বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় আটক করেছে। এসময় তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে। চারটি স্পট থেকে বিএনপির অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে।

গাবতলীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে অ্যাকশনে নেমেছে পুলিশ।

অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

উত্তরায় জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদেরকে ধাওয়া দিয়েছে পুলিশ। উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ওদিকে বেলা ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সড়কে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দেন তারা। একপর্যায়ে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে লঠিচার্জ ও কাদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। শুরু হয় দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।

এরা আগে বেলা ১১টায় ধোলাইখালে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. নিপুণ রায়ের নেতৃত্বে দলটির সহস্রাধিক নেতাকর্মী অবস্থান কর্মসূচি পালনে অংশ নেন। সড়কে অবস্থান নিয়ে সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেন তারা।

সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নেয়। তাদের পাশাপাশি লাঠি হাতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। সুত্র: মানব জমিন।