১০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

১২৩ ফুট উচ্চায় তৈরী শেখ মুজিব টাওয়ারের মুরাল ভাঙচুর

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৫:১৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৮৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও শেখ মুজিবের মুরাল ভাংচুর করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ জনতা মিলে এসব মুরাল ভায়চুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ঝিনাইদহ শহরের শিল্পকলা একাডেমীর সামনে শেখমুজিবের মুরাল স্থাপন করেন ঝিনাইদহের সাবেক জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ।

ধানমন্ডির ৩২ নং ভাংচুরের খবর পেয়ে ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেটি ভাংচুরের চেষ্টা করে। বহুবার চেষ্টা করেও মুরালটি ভাংতে না পেরে সেটি উপড়ে ফেলা হয়। এদিকে শেখ মুজিবের বৃহত্তম মুরালটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সমশেরনগর গ্রামে অবস্থিত।

১২৩ ফুট উচ্চতায় স্থাপিত শেখ মুজিব টাওয়ারের মুরালটি বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শত শত ছাত্রজনতা বিছিল নিয়ে সমশেরনগর গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় তারা স্টাটুচ অফ ফ্রিডম নামে পরিচিতি মুজিব টাওয়ারে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করে দেয়। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানায়, সমশেরনগর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ শমসের সরকারী টাকায় দেশের সর্ববৃহৎ মুজিবের মুরালটি নির্মান করেছিলেন। সে সময় বুড়ি ভৈরব নদ দখলের অভিযোগ ওঠে। মুজিবের ওই মুরালটি ভাংচুরের পর বারোবাজার মহাসড়কের উপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হোসাইন আহমেদ বলেন, খুনি হাসিনার পরিবারের কোন মুরাল বা নমাঙ্গিক প্রতিষ্ঠান এ দেশে থাকবে না। বাংলার জমিনে কোন ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না। কারণ হাসিনার হাতে ছাত্র হত্যার রক্ত লেগে আছে। এজন্য তারা সমশেরনগরে শেখ মুজিবের ওই মুরাল ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, জেলার যে প্রান্তেই মুজিবের মুর্তি দেখা যাবে সেখানেই ভাংচুর চালানো হবে

Please Share This Post in Your Social Media

১২৩ ফুট উচ্চায় তৈরী শেখ মুজিব টাওয়ারের মুরাল ভাঙচুর

আপডেট: ০৫:১৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও শেখ মুজিবের মুরাল ভাংচুর করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ জনতা মিলে এসব মুরাল ভায়চুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ঝিনাইদহ শহরের শিল্পকলা একাডেমীর সামনে শেখমুজিবের মুরাল স্থাপন করেন ঝিনাইদহের সাবেক জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ।

ধানমন্ডির ৩২ নং ভাংচুরের খবর পেয়ে ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেটি ভাংচুরের চেষ্টা করে। বহুবার চেষ্টা করেও মুরালটি ভাংতে না পেরে সেটি উপড়ে ফেলা হয়। এদিকে শেখ মুজিবের বৃহত্তম মুরালটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সমশেরনগর গ্রামে অবস্থিত।

১২৩ ফুট উচ্চতায় স্থাপিত শেখ মুজিব টাওয়ারের মুরালটি বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শত শত ছাত্রজনতা বিছিল নিয়ে সমশেরনগর গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় তারা স্টাটুচ অফ ফ্রিডম নামে পরিচিতি মুজিব টাওয়ারে হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করে দেয়। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানায়, সমশেরনগর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ শমসের সরকারী টাকায় দেশের সর্ববৃহৎ মুজিবের মুরালটি নির্মান করেছিলেন। সে সময় বুড়ি ভৈরব নদ দখলের অভিযোগ ওঠে। মুজিবের ওই মুরালটি ভাংচুরের পর বারোবাজার মহাসড়কের উপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হোসাইন আহমেদ বলেন, খুনি হাসিনার পরিবারের কোন মুরাল বা নমাঙ্গিক প্রতিষ্ঠান এ দেশে থাকবে না। বাংলার জমিনে কোন ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না। কারণ হাসিনার হাতে ছাত্র হত্যার রক্ত লেগে আছে। এজন্য তারা সমশেরনগরে শেখ মুজিবের ওই মুরাল ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, জেলার যে প্রান্তেই মুজিবের মুর্তি দেখা যাবে সেখানেই ভাংচুর চালানো হবে