০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোরের মধুমেলায় অশোভন নৃত্যের অভিযোগে যাত্রাপালা বন্ধ

নিউজ ডেস্ক
সাব্বির হোসেন, যশোর : যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মধুমেলায় যাত্রাপ্যান্ডেলে নৃত্যের অশোভন অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ ওঠায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যাত্রাপালা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। পরে নৃত্য বাদ দিয়ে শুধুমাত্র যাত্রাপালা চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়।

গত ২৫ জানুয়ারি, রাত ১টা ১০ মিনিটে যাত্রাপালা শুরু হওয়ার আগে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যাত্রাপ্যান্ডেলে উপস্থিত হয়ে নৃত্যের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি মাইকে ঘোষণা দেন, “যাত্রাপ্যান্ডেলে প্রদর্শিত নৃত্যের অঙ্গভঙ্গি শোভনীয় নয় এবং মেলার পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয়।” এরপর তিনি যাত্রা কমিটিকে অশোভন নৃত্য বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে কেশবপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি মাইকে ঘোষণা দেন, “মধুমেলা ২০২৫-এর মেলা কমিটির মিটিংয়ে অঙ্গীকার করা হয়েছিল যে যাত্রাপ্যান্ডেলে কোনো ধরনের অশ্লীলতা প্রদর্শিত হবে না। কিন্তু সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ হওয়ায় যাত্রাপালা অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”

ঘটনার পর টিকিট কাটা দর্শনার্থীরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। উত্তেজনা বাড়তে থাকলে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, নৃত্য বাদ দিয়ে শুধুমাত্র যাত্রাপালা প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে।

রাত ৮টার দিকে যাত্রামঞ্চে অংশগ্রহণকারী নৃত্যশিল্পীরা মঞ্চ ত্যাগ করেন এবং নিজ নিজ বাসস্থানের দিকে ফিরে যান।

মধুমেলা যশোরের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচিত। তবে মেলার শৃঙ্খলা ও সুনাম রক্ষার স্বার্থে প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অনেকেই প্রশংসা করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১২:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
২৫

যশোরের মধুমেলায় অশোভন নৃত্যের অভিযোগে যাত্রাপালা বন্ধ

আপডেট: ১২:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
সাব্বির হোসেন, যশোর : যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মধুমেলায় যাত্রাপ্যান্ডেলে নৃত্যের অশোভন অঙ্গভঙ্গির অভিযোগ ওঠায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যাত্রাপালা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। পরে নৃত্য বাদ দিয়ে শুধুমাত্র যাত্রাপালা চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়।

গত ২৫ জানুয়ারি, রাত ১টা ১০ মিনিটে যাত্রাপালা শুরু হওয়ার আগে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যাত্রাপ্যান্ডেলে উপস্থিত হয়ে নৃত্যের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি মাইকে ঘোষণা দেন, “যাত্রাপ্যান্ডেলে প্রদর্শিত নৃত্যের অঙ্গভঙ্গি শোভনীয় নয় এবং মেলার পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয়।” এরপর তিনি যাত্রা কমিটিকে অশোভন নৃত্য বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে কেশবপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি মাইকে ঘোষণা দেন, “মধুমেলা ২০২৫-এর মেলা কমিটির মিটিংয়ে অঙ্গীকার করা হয়েছিল যে যাত্রাপ্যান্ডেলে কোনো ধরনের অশ্লীলতা প্রদর্শিত হবে না। কিন্তু সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ হওয়ায় যাত্রাপালা অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”

ঘটনার পর টিকিট কাটা দর্শনার্থীরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। উত্তেজনা বাড়তে থাকলে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, নৃত্য বাদ দিয়ে শুধুমাত্র যাত্রাপালা প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে।

রাত ৮টার দিকে যাত্রামঞ্চে অংশগ্রহণকারী নৃত্যশিল্পীরা মঞ্চ ত্যাগ করেন এবং নিজ নিজ বাসস্থানের দিকে ফিরে যান।

মধুমেলা যশোরের একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচিত। তবে মেলার শৃঙ্খলা ও সুনাম রক্ষার স্বার্থে প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ অনেকেই প্রশংসা করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।