জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ জুন ১৫, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5556 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের প্রয়োজনে সরাসরি জেলে দেয়া হবে বলে মন্তব্য এসেছে হাইকোর্টের।
সার আত্মসাতের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন—বিসিআইসির আইনজীবী মোল্লা কিসমত হাবিব আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চাইলে হাইকোর্ট একথা বলেন।
পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ জুলাই তারিখ ধার্য করে বিসিআইসি আইনজীবীকে এই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বলেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, ‘আমদানিকৃত রাসায়নিক সার আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের প্রয়োজনে সরাসরি জেলে দেওয়া হবে। আমদানি করা রাসায়নিক সারের ৫৮২ কোটি টাকা কি বাতাস খেয়ে ফেলেছে? অর্থ পাচারসহ কোনো ধরনের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স।’
‘কারা এ সার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত, কারা এ টাকা আত্মসাৎ করেছে, সুনির্দিষ্ট করে তাদের নাম দিন। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতকে জানান, দুদক খুব শিগগিরই তাদের তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসির সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার মেট্রিক টন সার বন্দর থেকে খালাসের পর আর গুদামে পৌঁছায়নি। পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স ৫৮২ কোটি টাকা মূল্যের এই সার আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ।
পোটন ট্রেডার্সের মালিক সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন। তিনি বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। অভিযোগ রয়েছে, সার সরবরাহ করতে না পারার পরও পোটনের বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি। তবে জানাজানির পর গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়।
গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদক ও বিসিআইসিকে ৭২ হাজার টন আমদানি রাসায়নিক সার আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে সার আত্মসাতে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।