০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইমরান খানকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং বুশরা বিবিকে তার অর্ধেক জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থ বড় মামলায় সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রজেক্ট ট্রাস্টের মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে তাদের এই সাজা দেয়া হয়। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পরিচালিত একটি জবাবদিহি আদালতে এই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। খবর আলজাজিরার।

বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা রয়েছে যেগুলোতে এখনও তিনি জামিন পাননি। এছাড়া তাকে আরও ৭টি নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গত ২ ডিসেম্বর ইমরান খানকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে নতুন সাতটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনায় দেশটির বিভিন্ন থানায় ইমরান খান ও পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের আসামি করে এসব মামলা হয়েছে।

ইমরান খানের ‘শেষ ডাক’-এ সাড়া দিয়ে গত ২৪ নভেম্বর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বিক্ষোভ শুরু করে তার সমর্থক ও পিটিআইয়ের কর্মীরা। কিন্তু গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর রেড জোনে পিটিআই কর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব ও সমর্থকরা দ্রুত পিছু হটেন।

তিন দিনের এই বিক্ষোভে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য এবং তিনজন রেঞ্জার্স কর্মকর্তা রয়েছেন।

পরবর্তী অভিযানে পিটিআইয়ের বহু কর্মী গ্রেপ্তার হন এবং একাধিক মামলা দায়ের করা হয় তাদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একটি মামলা কোহসার থানায় ২৬ নভেম্বর থানার স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ ইমরানের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়।

পুলিশ মামলায় ৯৬ জন সন্দেহভাজনের একটি তালিকা জমা দেয়, যাতে ইমরান, বুশরা বিবি, মুখ্যমন্ত্রী গন্ডাপুর, সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর, জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব এবং আরও অনেক নেতার নাম রয়েছে।

শুনানিতে এটিসি বিচারক তাহির আব্বাস সিপরা পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই ৯৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, পিটিআই নেতারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আক্রমণ করেন এবং তাদের বিক্ষোভে সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করেন। বিক্ষোভকারীদের কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে আটকা পড়েন এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৬:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
১৪

ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট: ০৬:২৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইমরান খানকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং বুশরা বিবিকে তার অর্ধেক জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থ বড় মামলায় সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রজেক্ট ট্রাস্টের মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে তাদের এই সাজা দেয়া হয়। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পরিচালিত একটি জবাবদিহি আদালতে এই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। খবর আলজাজিরার।

বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা রয়েছে যেগুলোতে এখনও তিনি জামিন পাননি। এছাড়া তাকে আরও ৭টি নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গত ২ ডিসেম্বর ইমরান খানকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে নতুন সাতটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। বিক্ষোভে সহিংসতার ঘটনায় দেশটির বিভিন্ন থানায় ইমরান খান ও পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের আসামি করে এসব মামলা হয়েছে।

ইমরান খানের ‘শেষ ডাক’-এ সাড়া দিয়ে গত ২৪ নভেম্বর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বিক্ষোভ শুরু করে তার সমর্থক ও পিটিআইয়ের কর্মীরা। কিন্তু গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর রেড জোনে পিটিআই কর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব ও সমর্থকরা দ্রুত পিছু হটেন।

তিন দিনের এই বিক্ষোভে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য এবং তিনজন রেঞ্জার্স কর্মকর্তা রয়েছেন।

পরবর্তী অভিযানে পিটিআইয়ের বহু কর্মী গ্রেপ্তার হন এবং একাধিক মামলা দায়ের করা হয় তাদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একটি মামলা কোহসার থানায় ২৬ নভেম্বর থানার স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) মোহাম্মদ ইমরানের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়।

পুলিশ মামলায় ৯৬ জন সন্দেহভাজনের একটি তালিকা জমা দেয়, যাতে ইমরান, বুশরা বিবি, মুখ্যমন্ত্রী গন্ডাপুর, সাবেক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি, জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর, জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব এবং আরও অনেক নেতার নাম রয়েছে।

শুনানিতে এটিসি বিচারক তাহির আব্বাস সিপরা পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই ৯৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, পিটিআই নেতারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আক্রমণ করেন এবং তাদের বিক্ষোভে সরকারি কর্মচারীদের ব্যবহার করেন। বিক্ষোভকারীদের কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে আটকা পড়েন এবং এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়।