০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের ধাক্কায় বাসযাত্রী যশোরের বাবলুর রহমান নিহত

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের ঝিকরগাছার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত মোহর আলীর (৭৩) চার পুত্র-প্রপৌত্রসহ ৯ রেমিটেন্স যোদ্ধার মধ্যে বুধবার (১৪ মে) ভোর রাতে ১ পুত্র মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ হারান। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মুন্সি বাজার এলাকায় নিজ পরিবহন বাসের ধাক্কায় বাবলুর রহমান (৫২) মারা যান। এমনটাই জানালেন, শিবচর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, শিবচর উপজেলার মুন্সি বাজার এলাকায় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা গামী সেন্ট মার্টিন পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৯৯৯৬) ত্রুটি থাকায় রাস্তার পাশে মেরামতের কাজ চলছিল। এ সময় পরিবহনের যাত্রীরা বাস থেকে নেমে বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়েছিলেন। অনুমান বুধবার (১৪ মে) ভোর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে একটি মালবাহী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট ১৬-০৮৭৪) যাত্রীবাহী পরিবহনের পিছনে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাবলুর রহমানের (৫২) মুখমণ্ডল থেতলে যায়। তাকে দ্রুত শিবচর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহত বাবলু রহমানের জ্ঞাতি ভাইপো শাওন হোসেন জানান, আমার দাদা মৃত মোহর আলীর ৪ ছেলে ১ মেয়ে। বড় ছেলে সাহেব আলী (৫৫) ২০০৬ সালে মালয়েশিয়ায় রেমিটেন্স অর্জনে পাড়ি জমান হন। তার দুই ছেলে রাশেদ আলী (২৫) ২০১৭ সালে এবং অপর ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০) ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেন।

২০০৬ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেয়া মেঝো ছেলে বাবলুর রহমান (৫২) এবছর ১৩ মার্চ ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। ১৪ই মে বুধবার দুপুর ১২:১৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ধরতে রওনা হন। পথিমধ্যে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মুন্সিবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার দুই মেয়ে বিবাহিত, তারা শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন। স্ত্রী নিজ বাড়িতেই থাকেন। সেজো ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৮) এবং তার ২ ছেলে সোহান (২১) ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেন।

ছোট ছেলে আসারুল ইসলাম (৪৫) ২০১৪ সালে পাড়ি জমান। মৃত মোহর আলীর স্ত্রী নবীসন বেগম (৬২) তার ৪ পুত্রবধূদের নিয়ে বাড়িতেই থাকেন। মেঝ পুত্র বাবলুর রহমানকে হারিয়ে বৃদ্ধ মা নির্বাক হয়ে শুধু চোখের পানি ছাড়ছেন। বুধবার (১৪ মে) বিকাল ৪ টায় শিবচর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, লাশের পোস্টমর্টেম হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৪:৩২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
৫৯

শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের ধাক্কায় বাসযাত্রী যশোরের বাবলুর রহমান নিহত

আপডেট: ০৪:৩২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের ঝিকরগাছার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত মোহর আলীর (৭৩) চার পুত্র-প্রপৌত্রসহ ৯ রেমিটেন্স যোদ্ধার মধ্যে বুধবার (১৪ মে) ভোর রাতে ১ পুত্র মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ হারান। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মুন্সি বাজার এলাকায় নিজ পরিবহন বাসের ধাক্কায় বাবলুর রহমান (৫২) মারা যান। এমনটাই জানালেন, শিবচর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, শিবচর উপজেলার মুন্সি বাজার এলাকায় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকা গামী সেন্ট মার্টিন পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৯৯৯৬) ত্রুটি থাকায় রাস্তার পাশে মেরামতের কাজ চলছিল। এ সময় পরিবহনের যাত্রীরা বাস থেকে নেমে বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়েছিলেন। অনুমান বুধবার (১৪ মে) ভোর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে একটি মালবাহী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট ১৬-০৮৭৪) যাত্রীবাহী পরিবহনের পিছনে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাবলুর রহমানের (৫২) মুখমণ্ডল থেতলে যায়। তাকে দ্রুত শিবচর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহত বাবলু রহমানের জ্ঞাতি ভাইপো শাওন হোসেন জানান, আমার দাদা মৃত মোহর আলীর ৪ ছেলে ১ মেয়ে। বড় ছেলে সাহেব আলী (৫৫) ২০০৬ সালে মালয়েশিয়ায় রেমিটেন্স অর্জনে পাড়ি জমান হন। তার দুই ছেলে রাশেদ আলী (২৫) ২০১৭ সালে এবং অপর ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০) ২০২৩ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেন।

২০০৬ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেয়া মেঝো ছেলে বাবলুর রহমান (৫২) এবছর ১৩ মার্চ ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। ১৪ই মে বুধবার দুপুর ১২:১৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ধরতে রওনা হন। পথিমধ্যে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার মুন্সিবাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার দুই মেয়ে বিবাহিত, তারা শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন। স্ত্রী নিজ বাড়িতেই থাকেন। সেজো ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৮) এবং তার ২ ছেলে সোহান (২১) ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেন।

ছোট ছেলে আসারুল ইসলাম (৪৫) ২০১৪ সালে পাড়ি জমান। মৃত মোহর আলীর স্ত্রী নবীসন বেগম (৬২) তার ৪ পুত্রবধূদের নিয়ে বাড়িতেই থাকেন। মেঝ পুত্র বাবলুর রহমানকে হারিয়ে বৃদ্ধ মা নির্বাক হয়ে শুধু চোখের পানি ছাড়ছেন। বুধবার (১৪ মে) বিকাল ৪ টায় শিবচর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, লাশের পোস্টমর্টেম হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন।