জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ অক্টোবর ২১, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2191 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : কেউ যেন আর মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, বিএনপি আন্দোলন করলে সমস্যা নেই। কিন্তু কেউ আগুল সন্ত্রাস করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আন্দোলনের নামে বিএনপি মাঠে নামতে চায়, তারা আন্দোলন করুক, এ নিয়ে আমাদের কোনো কথা নাই। কিন্তু তারা আবার কোনো রকম অগ্নিসন্ত্রাস বা ধ্বংসাত্মক কাজ করলে এবং কোনোরকম দুর্বৃত্তপনা করলে ছেড়ে দেব না। তারা যেন আর আগুন সন্ত্রাস করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। মহাসমাবেশের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। এর আগে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ১৫তলা ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের কতো নেতাকর্মীকে বিএনপি হত্যা করেছে। তারা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করে আরও ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করেছে। এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। ২০১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস করে বিএনপি বহু মানুষকে হত্যা করেছে। বাস, ট্রাক আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। যারাই এসব করেছে তাদের বিচার করতে হবে। যেসব জেলায় যার যার নামে মামলা আছে তাদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার হবে না শাস্তি পাবে না তা হতে পারে না। অন্যায়ের বিচার না হলে তারা আরও বাড়বে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ২০০১ সালে বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসেছিল। বিএনপি দেশের অর্থ পাচার করে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস করে দুর্নীতি চ্যাম্পিয়ান তারা এদেশে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য করেছিল।
সরকাপ্রধান বলেন, খুনিদের জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসিয়েছিল। সব বাধা উপেক্ষা করে আমি সে সময় দেশে ফিরে আসি। তারা জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন না করে, ক্ষমতাসীনরা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু লোকের ভাগ্য উন্নয়ন করেছিল। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি বাতিল করে বিচার বিভাগের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, এ দেশের নাগরিক হিসেবে বিচার পাওয়ার অধিকার আমাদের ছিল। কিন্তু সেই অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ইনডেমনিটি আইন জারি করে। শুধু ইনডেমনিটি জারি করা হয়নি, জিয়াউর রহমান জনগণের ভোট চুরি করে নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংবিধান এবং মিলিটারি আইন ভঙ্গ করে নিজে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এরপর দল গঠনের মধ্য দিয়ে জনগণের সঙ্গে কারচুপি করে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটা মানুষ যেন বিচার পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বিএনপির আমলে ১৮ শতাংশ দারিদ্র মানুষ ছিল। সেখান থেকে আমরা ছয় শতাংশ দারিদ্রের হারে নামিয়ে এনেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন থেকে আমাদের লক্ষ্য ছিল যেন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়। আমরা সেই কাজ করছি। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য এ দেশে মানুষের ক্যালাণে কাজ করা। সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।
আইনজীবী মহাসমাবেশে সভাপতিত্বে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।