০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি আটক

নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমী রাজ্য গুজরাটের দুই শহর থেকে নারী ও শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটকের দাবি করেছে দেশটির কতৃপক্ষ। এরমধ্যে আহমেদাবাদ থেকে ৮৯০ জন ও আরেক শহর সুরাটে ১৩৪ জনকে আটক করা হয়।

শনিবার গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) ও গুজরাট পুলিশের চিরুনি অভিযানে ওই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছে এবং তাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।

মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেন, গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের আটকের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি আরও বলেন, ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের আটকে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।’’

তিনি বলেন, ‘আটককৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি আটক করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।’

হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আটককৃতরা কীভাবে রাজ্যে জাল নথি তৈরি করেছিল তার প্রমাণ পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হবে।

সাংঘভি বলেন, গুজরাট জুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে পাকিস্তানি নাগরিকদের গুজরাট ত্যাগ করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দেশের নাগরিকরা যাতে তাদের রাজ্যে অবৈধভাবে না থাকে তা নিশ্চিত করা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।

সূত্র: এনডিটিভি

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৬:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১৬

গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি আটক

আপডেট: ০৬:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমী রাজ্য গুজরাটের দুই শহর থেকে নারী ও শিশুসহ এক হাজারেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটকের দাবি করেছে দেশটির কতৃপক্ষ। এরমধ্যে আহমেদাবাদ থেকে ৮৯০ জন ও আরেক শহর সুরাটে ১৩৪ জনকে আটক করা হয়।

শনিবার গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) ও গুজরাট পুলিশের চিরুনি অভিযানে ওই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছে এবং তাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।

মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেন, গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের আটকের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি আরও বলেন, ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের আটকে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।’’

তিনি বলেন, ‘আটককৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি আটক করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।’

হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আটককৃতরা কীভাবে রাজ্যে জাল নথি তৈরি করেছিল তার প্রমাণ পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হবে।

সাংঘভি বলেন, গুজরাট জুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে পাকিস্তানি নাগরিকদের গুজরাট ত্যাগ করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দেশের নাগরিকরা যাতে তাদের রাজ্যে অবৈধভাবে না থাকে তা নিশ্চিত করা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।

সূত্র: এনডিটিভি