০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় নিহত ৯৭০

নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৯৭০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

বুধবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরুর পর থেকে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৯৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৭৪ জন শিশু ও ৮৯ জন নারী রয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫৭৭ জনে পৌঁছায়। এরপর বুধবার দুপুরের দিকে এই সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৫৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত সরকারের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সূত্র।

হামাস সরকারের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবার রয়েছে।

নিহত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং গাজায় সরকারি ফলো-আপ কমিটির প্রধান ইসাম আল-দালিস; হামাসের বিচার মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ ওমর আল-হাত্তা; হামাসের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা; হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার মহাপরিচালক বাহজাত হাসান আবু সুলতান এবং গাজার রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং জরুরি কমিটির প্রধান আবু ওবেদা আল-জামাসি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা সমঝোতায় পৌঁছাতে দুপক্ষ ব্যর্থ হওয়ার পর পরই বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় অনেক লোক সেহরি খাচ্ছিলেন, তখনই গাজায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ২০টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে শুরু করে বলে তারা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে হামাস বলেছে, ইসরায়েল ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি একতরফা বাতিল করেছে।

হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহু এবং তার চরমপন্থি সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার ফলে গাজার বন্দিদের অজানা পরিণতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

তারা আরব ও ইসলামি দেশগুলোর জনগণকে এই হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সব প্রচেষ্টাকে নষ্ট করার অভিযোগ করেছে।

সূত্র: এএফপি, আলজাজিরা

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১০:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
৬৪

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় নিহত ৯৭০

আপডেট: ১০:৩৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৯৭০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

বুধবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরুর পর থেকে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৯৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৭৪ জন শিশু ও ৮৯ জন নারী রয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫৭৭ জনে পৌঁছায়। এরপর বুধবার দুপুরের দিকে এই সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৫৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত সরকারের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সূত্র।

হামাস সরকারের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবার রয়েছে।

নিহত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং গাজায় সরকারি ফলো-আপ কমিটির প্রধান ইসাম আল-দালিস; হামাসের বিচার মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ ওমর আল-হাত্তা; হামাসের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা; হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার মহাপরিচালক বাহজাত হাসান আবু সুলতান এবং গাজার রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং জরুরি কমিটির প্রধান আবু ওবেদা আল-জামাসি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা সমঝোতায় পৌঁছাতে দুপক্ষ ব্যর্থ হওয়ার পর পরই বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় অনেক লোক সেহরি খাচ্ছিলেন, তখনই গাজায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ২০টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে শুরু করে বলে তারা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে হামাস বলেছে, ইসরায়েল ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি একতরফা বাতিল করেছে।

হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহু এবং তার চরমপন্থি সরকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার ফলে গাজার বন্দিদের অজানা পরিণতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

তারা আরব ও ইসলামি দেশগুলোর জনগণকে এই হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সব প্রচেষ্টাকে নষ্ট করার অভিযোগ করেছে।

সূত্র: এএফপি, আলজাজিরা