সারাবিশ্ব ডেস্ক : পাকিস্তানের বালুচিস্তানে সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাস্তা আটকিয়ে বাস থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয়পত্র দেখে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা ৩৩ জনকে গুলি করে হত্যা। এছাড়া জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে ১০টি বাস ও অন্যান্য যানবাহন। নিহতরা সবাই পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের বাসিন্দা।

দেশটির সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রারাশামের কাছে আগে থেকেই মহাসড়ক আটকে দাঁড়িয়েছিলেন একদল সশস্ত্র যুবক। এই পথে আসা সমস্ত বাস ও ট্রাক থেকে যাত্রীদের নামতে বাধ্য করেন তারা। এরপর এক এক করে সবার পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে বেছে বেছে বাসের ৩৩ যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় অন্তত ১০টি বাস ও ট্রাকে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার নাজিব কাকর বলেছেন, নিহতরা সবাই পাঞ্জাবের বাসিন্দা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। মৃতদেহগুলো হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সরফরাজ বুগতি। নিহতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সন্ত্রাসবাদীদের দায়ী করছেন সরফরাজ। পাঞ্জাব প্রদেশে জঙ্গি হানা রুখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন বালুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী। দেশটির অশান্ত এ অঞ্চলে বিদ্রোহীদের হামলা বেড়েছে।

২০১৫ সালেও তুরবাতে দিনমজুরদের শিবিরে সূর্যোদয়ের আগে হামলা চালিয়ে ২০ পাঞ্জাবি কর্মীদের হত্যা করে বন্দুকধারীরা। চার মাস আগেও পাঞ্জাবের বাসিন্দাদের ওপর একই কায়দায় হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। নশকির কাছে একটি বাস থেকে যাত্রীদের বের করে এনে তাদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা হয়। তারপর পাঞ্জাব থেকে আসা নয় ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

গত বছরের অক্টোবরে বেলুচিস্তানের কেচ জেলায় ছয় পাঞ্জাবি দিনমজুরকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করেন। পুলিশ জানায়, এই পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য ছিল পাঞ্জাবিরা। নিহতদের সবাই দক্ষিণ পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন।