খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, নড়াইল | তারিখঃ আগস্ট ১৯, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2078 বার
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের অধিকাংশ জন প্রতিনিধি আত্মগোপনে সেবা প্রত্যাশীদের দুর্ভোগ।
একসময় লোকে লোকারণ্য থাকত নড়াইলের এমপি, মেয়র ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাসা ও অফিস। কিন্তু এগুলো এখন নিস্তব্ধ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে স্থানীয় এমপির ২ তলাবিশিষ্ট বাড়িটি। যাদের পদচারণায় মুখরিত থাকত বাড়িটি, তাদের কাউকেই আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিশূন্য হয়ে পড়েছে।
সূত্রমতে ৩৯টি ইউনিয়ন, ৩টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নড়াইল জেলা। প্রায় ৭ লাখ ২১ হাজার ৬৬৮ জন লোকের বসবাস। জেলার অধিকাংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে আসছে কিন্তু সরকার পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন প্রতিনিধিরা হাওয়া হয়ে গেছে। ফলে সেবা প্রত্যাশীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরদিন থেকেই লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ফয়জুল হক রোম, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল লিয়নসহ অনেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অফিসে অনুপস্থিত রয়েছে। এছাড়াও নড়াইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, প্যানেল মেয়র, কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, কালিয়া পৌর মেয়রসহ অধিকাংশ জন প্রতিনিধিরাই আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না জনসাধারণ। এ কারণে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আবার অনেক চেয়ারম্যান এলাকায় থাকলেও জনরোষের ভয়ে অফিসে আসছেন না। বিগত দিনে যারা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে তারাই এখন ভয়ে অফিসে আসছেন না। আবার অনেক চেয়ারম্যানরা নিজ বাসায় অফিস করছেন। যে কারণে স্থানীয় লোকজন বাসায় যেতে বিব্রতবোধ করছেন।
লোহাগড়া পৌরসভার মঙ্গলহাটার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জন্মনিবন্ধন করানোর জন্য পৌরসভার আসলে মেয়র না থাকায় কাজ করতে পারছি না। কবে মেয়র আসবেন তাও কেউ বলতে পারছে না।
লোহাগড়া উপজেলার কুচিয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ইয়ামিন বলেন, উপজেলায় গিয়ে চেয়ারম্যানকে পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন। আমরা চরম দুর্ভোগে রয়েছি।
এ বিষয়ে অনেক জনপ্রতিনিধির ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমি বাড়িতে অবস্থান করছি। আগের মতো অফিসে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। পরিস্থিতি ভালো হলে নিয়মিত অফিস করব।
তবে সচেতন মহল বলেছেন জনপ্রতিনিধিরা যদি অফিস না করেন তাহলে অবিলম্বে তাদের বহিষ্কার করে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জনদূভোগ কমানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।