খুলনা, খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা | তারিখঃ আগস্ট ১, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2120 বার
রাসেল আহমেদ,খুলনা জেলা প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার ৯ টা ৩৫ মিনিট। হাসপাতালে প্রচুর রোগীর ভিড়। সে সময়ও আসেনি কোন চিকিৎসক।
আউটডোরের চিকিৎসকের কক্ষের সামনে দীর্ঘ লাইন রোগীদের। কেউ অসুস্থ হয়ে বিরক্ত হয়ে চিকিৎসকের কক্ষের সামনে গিয়ে শুয়ে, বসে অথবা দাঁড়িয়ে আছে। কখন চিকিৎসক আসবেন এ বিষয়ে রুগিরা হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছে জানতে চাইলেও কোন সদুত্তর পাচ্ছে না।
খুলনার তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিদিনের চিত্র এটি। রুগিদের অভিযোগ, সকাল ১১ টার আগে কোন চিকিৎসক হাসপাতালে আসেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা দেরিতে এসে নির্ধারিত সময়ের আগে কর্মস্থল থেকে চলে যান। অথচ হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডের সরকারি অফিস আদেশ অনুযায়ী বায়োমেট্রিক হাজিরায় সকাল ৮টায় আঙুলের ছাপ ও দুপুর ২.৩০ মিনিটের সময় অর্থাৎ দায়িত্ব পালন শেষে আঙুলের ছাপ প্রদান করে কর্মস্থল ত্যাগ করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু নিজেদের খেয়াল খুশিমত অফিস করছেন চিকিৎসকরা। ফলে সেবা নিতে আসা রোগিরা বহির্বিভাগে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না ডাক্তারদের দেখা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে মোট ১৭৪ টি পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৯ টি পদ সহ দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির মোাট ৮১ টি পদ শুন্য রয়েছে। উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার আশ্রয়স্থল এই সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু চিকিৎসক ও অন্যান্য জনবল সংকট এবং কর্মরত চিকিৎসকদের যথাসময়ে হাসপাতালে না আসার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের।
ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে চিকিৎসক না পেয়ে চিকিৎসা নিতে রুগিদের যেতে হচ্ছে ক্লিনিকে। আর এসব রুগিদেরকে ক্লিনিকে নিয়ে যেতে ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের দালালরা সব সময় হাসপাতালে ঘোরাফেরা করে।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রুগিদের সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তাররা ঠিকমত ডিউটি না করার কারণে আমাদের চরম ভোগান্তি পেহাতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তানিয়া রহমান বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে মধুপুরে আছি, হাসপাতালে ডাক্তার সংখ্যা কম, যারা রাত্রে নাইট করে তারাই সকালের রাউন্ডে আউডটোরে বসেন, যদি কোন ডাক্তার ১১ টার পরে আসে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।