০১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পণ্ড কর্মসূচি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৫:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার, বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি, মব ভায়োলেন্স বন্ধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায়।

এদিন সমাবেশের শুরু থেকেই সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ সময় বক্তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে। দলটির নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে পুলিশ।

রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সমাবেশস্থলে আপাতত বিশৃঙ্খলা চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিয়ারশেল ছোঁড়া হয়েছে।”

দলটির কর্মী সমাবেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে সংঘর্ষের সময় চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনাকালে জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা অস্থায়ীভাবে নির্মিত মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও সংঘর্ষ শুরু হলে নিরাপত্তার কারণে তারা মঞ্চ ত্যাগ করেন।

ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

জাতীয় পার্টির কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পণ্ড কর্মসূচি

আপডেট: ০৫:১৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার, বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি, মব ভায়োলেন্স বন্ধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায়।

এদিন সমাবেশের শুরু থেকেই সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ সময় বক্তারা সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে। দলটির নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে পুলিশ।

রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সমাবেশস্থলে আপাতত বিশৃঙ্খলা চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিয়ারশেল ছোঁড়া হয়েছে।”

দলটির কর্মী সমাবেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে সংঘর্ষের সময় চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনাকালে জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা অস্থায়ীভাবে নির্মিত মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও সংঘর্ষ শুরু হলে নিরাপত্তার কারণে তারা মঞ্চ ত্যাগ করেন।

ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।