নিজস্ব প্রতিবেদক : বান্দরবানের রুমা উপজেলা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের আওতাধীন ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের গোপন খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলা ফারুয়া ইউনিয়নের ধুপপানি এলাকাটি ঘেরাও করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে সশস্ত্র ৮ জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, দুটি মোবাইল ফোন ও দুটি পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়।

এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বলেন, “আমরা এখনও কোনো আসামি বুঝে পায়নি। আমাদের যৌথ অভিযান এখনও চলছে।”

সেনাবাহিনী, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‍্যাব, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে শতাধিক সশস্ত্র কেএনএফ সদস্য হামলা চালায়। এসময় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে তারা।

এ ঘটনার ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ এপ্রিল থানচিতে গুলিবর্ষণ এবং কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট করে কেএনএফ। এছাড়া ৪ এপ্রিল ফের থানচির সোনালী ব্যাংক ও বাজারে আক্রমণ করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতিথানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি
এরপর বান্দরবান পরিদর্শনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কেএনএফ দমনে পাহাড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বান্দরবান যাচ্ছেন শনিবারস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বান্দরবান যাচ্ছেন শনিবার
কেএনএফের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ওইসব ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় ৯টি মামলা দায়ের করা হয়।

অভিযানে যৌথবাহিনী এ পর্যন্ত ২০ জন নারীসহ ৭১ জনকে আটক করেছে। যাদের মধ্যে ৬৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।