সারাবিশ্ব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্র। যেকোন প্রয়োজনে দেশটিকে পাশে পায় ইসরায়েল। এবারও যখন ইসরায়েলকে হুমকি দিচ্ছে ইরান, ঠিক তখনি ইরানকে সতর্ক করে বক্তব্য দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের যত সামরিক ঘাঁটি ও সেনা আছে সবই ইরানের বিরুদ্ধে নামিয়ে দিবেন তিনি।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, কুয়েত, কাতার, আমিরাত, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অন্তত ১০টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়া মোতায়েন আছে ৪০ হাজারের বেশি সেনা। সমরবিদরা বলছেন, ইসরায়েলের চেয়েও ইরানের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে মার্কিন বাহিনী।

জানা যায়, সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান এয়ারবেজে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭৬তম এয়ার এক্সপেডিশনারি উইং রয়েছে। এখান থেকে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এফ-১৬ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পরিচালনা করে। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল ধাফরা এয়ার বেজে রাখা আছে এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান। যে কোনো প্রয়োজনে এখান থেকেই শক্রপক্ষকে ঘায়েল করতে চায় পেন্টাগন। এমনকি কুয়েতের আলি আল-সালেম বিমান ঘাঁটিতে রয়েছে ৩৮৬তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং। কাতার এবং বাহরাইনেও আছে হাজার হাজার মার্কিন সেনা।
ইরানে হামলার জন্য উপসাগরীয় এলাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ঘাঁটি ব্যবহার না করার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। শুধু তাই নয়, ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক মার্কিন হামলার ক্ষেত্রে এসব উপসাগরীয় দেশ তাদের আকাশসীমা দিয়ে মার্কিন বিমান উড্ডয়ন প্রতিরোধ করার পদক্ষেপও নিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, চীনের উত্থানের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সেই দাপট আবার ফিরিয়ে আনতে ইরানের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে পারে বাইডেন প্রশাসন।
তবে মধ্যপ্রাচ্যে কারও খবরদারিকে তোয়াক্কা করছে না তেহরান। সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাব দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইরান। এরইমধ্যে লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার অন্তত ৫০টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এতে অবশ্য কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।