স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা | তারিখঃ মার্চ ১৪, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 11243 বার
সারাবিশ্ব ডেস্ক : বার্ড ফ্লু এর এইচফাইভএনওয়ান ধরণটির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন দেশের সরকার এবং গবেষকরা। তবে যুক্তরাজ্যের একজন গবেষক দাবি করেছেন, বার্ড ফ্লু মহামারি হয়তো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে। দ্যা মেট্রো সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
বার্ড ফ্লু সাধারণভাবে ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় একটি রোগ। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামক ভাইরাসের সংক্রমণে এই রোগটি হয়ে থাকে। বার্ড ফ্লু ভাইরাসের নাম এইচফাইভএনওয়ান।
করোনাভাইরাসের মতো বার্ড ফ্লুয়ের উৎসও অজানা। কিন্তু ধারণা করা হয় অন্য কোনো প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে দুটোই। এখন পর্যন্ত মানুষ থেকে মানুষে বার্ড ফ্লু সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। তবুও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে এই ভাইরাসটি করোনাভাইরাসের মতো মহামারি হয়ে উঠতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সাল থেকে ২৬টি দেশে বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রজাতিতে ছড়িয়েছে বার্ড ফ্লু- যার মাঝে শ্বেতভালুক এবং পেঙ্গুইন পর্যন্ত আছে। আর এতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশ ভয়াবহ। গবেষণাটি করেন ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার অধ্যাপক ড. ডায়ানা বেল।
তিনি জানান, ২০২০ সালের পর থেকে বার্ড ফ্লু দ্রুত ছড়াচ্ছে। ১৯৯৭ সালের দিকে চীনে গৃহপালিত হাঁসের মাঝে প্রথম দেখা দেয় বার্ড ফ্লু। এরপর থেকে তা বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পাখি ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতিতে দেখা দিচ্ছে বার্ড ফ্লু।
তিনি আরও জানান, মহামারি ঠেকাতে বার্ড ফ্লু নিয়ে গবেষণা এবং নজরদারির বিকল্প নেই। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো, গৃহপালিত হাঁস-মুরগির মাঝে বার্ড ফ্লুয়ের প্রকোপ কমিয়ে আনা। এর জন্য পোলট্রি ফার্মিং পদ্ধতিতেই আমূল পরিবর্তন আনা উচিত।