অতিমাত্রার বৃষ্টি : ঝাঁপা বাঁওড়ের উপচে পড়া পানিতে প্রায় ১৮টি আবাদি মাঠ পানিতে প্লাবিত
- আপডেট: ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
- / ৬৫

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; hdrForward: 0; brp_mask:0; brp_del_th:null; brp_del_sen:null; delta:null; module: photo;hw-remosaic: false;touch: (0.35833332, 0.5914179);sceneMode: 0;cct_value: 0;AI_Scene: (-1, -1);aec_lux: 0.0;aec_lux_index: 0;HdrStatus: auto;albedo: ;confidence: ;motionLevel: -1;weatherinfo: null;temperature: 37;

বি.এম বিল্লাল হোসেন,,রাজগঞ্জ : যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পশ্চিম অঞ্চল রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের পানি মানিকগঞ্জের খাল দিয়ে উজোন উঠে ১৬-১৮টি বড় আবাদি মাঠ প্লাবিত।
একারনে এবার প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার একর আবাদি মাঠে আমন ধান চাষ হচ্ছে না। কৃষকরা মহা চিন্তায় পড়ে গেছে। জানাগেছে- টানা বৃষ্টিপাতের কারনে উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের পানি মানিকগঞ্জের খাল দিয়ে উজোন উঠে হানুয়ার মাঠ, মানিকগঞ্জ মাঠ, গালদার মাঠ, হেলাঞ্চীর মাঠ, খড়িঞ্চীর মাঠ, সিংহের বিল, বালির খাল মাঠ, খালিয়ার মাঠ, কাশিপুর মাঠ, ঘুঘুরাইল মাঠ, পাড়দিয়ার মাঠ, জামলার মাঠ, মোবারকপুর মাঠ, ইচানীর মাঠ, চন্ডিপুরের কাচলির বিল প্লাবিত হয়েছে। যতো বৃষ্টি হচ্ছে ততোই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব মাঠে।
কৃষকরা এ মাঠে একদফা আমন ধানের চারা রোপন করেছে। সেই চারাগুলো এখন কোমর পানির নিচে রয়েছে। কৃষকরা বলছেন- এবার এ মাঠে আর আমন ধান হবে না। পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হানুয়ার গ্রামের কৃষক মোঃ বজলুর রহমান জানান- গত ২-৩ বছর আগে মানিকগঞ্জের খালের ব্রীজের মুখ বাঁধা ছিলো।
একারনে উল্লেখিত মাঠগুলোতে কৃষকরা ঠিকঠাক মতো ধানের আবাদ করতে পেরেছিলো। এখন এই খালের ব্রীজের মুখ খোলা রয়েছে, এজন্য ঝাঁপা বাঁওড়ের পানি উজোন উঠছে। গালদা গ্রামের কৃষক মিলন হোসেন বলেন- একটি খালের কারনে হাজার হাজার একর আবাদি জমি ডুবে গেছে। এই খালের মুখ বর্ষা মৌসুমে বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে প্রতি বছরই কৃষকদের এই সমস্যায় ভুগতে হবে। হানুয়ার মানিকগঞ্জের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন- এই খালে ব্রীজের মুখে সরকারী ভাবে একটি স্লইচগেট নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে প্রত্যেক বছর কৃষকদের আমন ধান চাষ হবে না।
হানুয়ার গ্রামের মোঃ মোস্তফা বলেন- মানিকগঞ্জের খাল দিয়ে ঝাঁপা বাঁওড়ের পানি উজোন উঠে প্রায় ১৭-১৮টি বড় আবাদি মাঠ প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১৫-২০ হাজার একর আবাদি জমি ডুবে রয়েছে। পানিতে ডুবে থাকা মাঠে এই মৌসুমে আর আমন ধান চাষ করা হবে না। এছাড়াও চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর শেখপাড়া লক্ষণপুর বিল, কাঁঠালতলা গ্রামের ময়নার বিল সহ রাজগঞ্জ অঞ্চলের সব বিল তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষক মশিয়ার রহমান, আজিজুল ইসলাম, ইসলাম গাজী, ইসহাক আলী, ফজলুর রহমান, মালেক মোড়ল, বদর উদ্দিন, আঃ মান্নান এ প্রতিনিধিকে বলেন- বৃষ্টিতে বিল ও মাঠ সব তলিয়ে গেছে। একারনে রোপা আমন ক্ষেতগুলো পানির নিচে রয়েছে। এবারের পানি মনে হয় দ্রুত সরবে না। ফলে এবার আমন ধান চাষ আর হবে না। এছাড়া রাজগঞ্জ অঞ্চলের সবগুলো বিল প্লাবিত হয়েছে।
ইউনিয়ন ভিত্তিক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন- অধিকাংশ বিল ও মাঠ অতিমাত্রার বৃষ্টিপাতের কারনে তলিয়ে রয়েছে। পানি সরে গেলে আমন ধানের চারা রোপন করা যাবে। যে জমিতে পানি কম, সেই জমিতে আমরা ধানের চারা রোপনের পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা সব সময় কৃষকের পাশে আছি।