ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা মাটিলা সীমান্ত সোনা চোরাচালান ও ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

স্থানীয় চোরাকারবারীরা মাটিলা সীমান্ত বিভিন্ন দ্রব্য পাচার করছে বলে অভিযোগ।

এদিকে ৪৪ দিনের ব্যবধানে শনিবার আবারো সোনার বার ধরা পড়েছে ওই সীমান্তে। উদ্ধার হয়েছে চার কোটি ৩৫ লাখ টাকা মুল্যোর ৫ কেজি সোনার বার। এই নিয়ে চলতি বছরের দুই দিনে সাড়ে ৯ কেজি সোনার বার জব্দ করলো মহেশপুরের ৫৮ বিজিবি। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী শনিবার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) কর্তৃক নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাটিলা এলাকা দিয়ে সোনা পাচারের তথ্য জানতে পারে।

এমন খবর পেয়ে বিজিবি অধিনায়কের নেতৃত্বে মাটিলা বিওপির একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার ৫১ হতে ২৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থান গ্রহন করেন। শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে চোরাকারবারী সীমান্ত সংলগ্ন কৃষিজমিতে কাজ করার বাহানায় স্বর্নের চালানটি ভারতে নেয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারীরা সোনার বারের প্যাকেটটি ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

টহলদল ঘটনাস্থল থেকে সাদা প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় প্রতিনিটি এক কেজি ওজনের পাঁচটি বার উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত সোনার বারের সিজার মূল্যে-৪ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ টাকা।

এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। চোরাকারবারীদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গগ্রহনের পক্রিয়া চলছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য গত ১৭ জানুয়ারি মাটিলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় সাড়ে চার কোজি ওজনের সোনার বার জব্দ করে বিজিবি। এ সময় মহেশপুর উপজেলার মাটিলা বাগান পাড়ার হযরত আলীর ছেলে রিমন হোসেন (২০) কে আটক করা হয়। এছাড়া গত ১৮ ও ১৪ ফেব্রয়ারি মাটিলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এক ভারতীয়সহ ৫৬ জনকে আটক করে বিজিবি।