বেনাপোলে “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” স্মরণে অংশগ্রহণমূলক আইডিয়া প্রতিযোগিতা ও বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
- আপডেট: ০৭:৪২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
- / ৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলে “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” স্মরণে অংশ গ্রহণমূলক আইডিয়া প্রতিযোগিতা ও বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইতিহাসচর্চা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নতুন প্রজন্মকে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতেই এই ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২৮ জুলাই ২০২৫) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। “আমার চোখে জুলাই বিপ্লব” প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. কাজী নাজিব হাসান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শওকত মেহেদী সেতু, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের মো. মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম, জুলাই বিপ্লবে নিহত বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লার পিতা আব্দুল জব্বার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা আব্দুল মান্নান মাষ্টারসহ নেতৃবৃন্দ।
বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহসান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে ছিল-জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উপর কুইজ প্রতিযোগিতা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক বাংলাদেশ নিয়ে উপস্থিত বক্তৃতা, পথনাটক, শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, জুলাইয়ের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, ঐতিহাসিক দলিল ও ছবি নিয়ে ভিডিও প্রদর্শনী এবং বিদ্যালয়ের দেয়ালে গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক চিত্রকর্ম- গ্রাফিতি আঁকা।
অনুষ্ঠান শেষে বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদ আবদুল্লার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজন শুধুমাত্র একটি দিবস পালন নয়, বরং এটি একটি চলমান ঐতিহাসিক চেতনার পুনর্জাগরণ। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল অঞ্চলে চলবে এই কর্মসূচি। আয়োজনটি ভবিষ্যতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে যশোর জেলা পরিষদের, যার মাধ্যমে তরুণ সমাজের মধ্যে ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ ও সচেতনতা জোরদার হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।