শালিখায় পিডিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, সংবাদ সম্মেলনে গ্রাহকদের ক্ষোভ
- আপডেট: ১১:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
- / ৮৮

শালিখা মাগুরা প্রতিনিধিঃ শালিখা উপজেলার পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিএফ) মাঠকর্মী রাশেদুল ইসলাম বাপ্পি’র বিরুদ্ধে চারজন গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋণ তুলে প্রায় আট লাখ সত্তর হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা আজ শুক্রবার ২৫ জুলাই শালিখা রিপোটার্স ইউনিটির অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতারণার চিত্র তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন অভিযোগ করেন, তার নামে তিন লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে, অথচ তিনি কোনো অর্থ পাননি বা ঋণ সম্পর্কেও কিছু জানতেন না। একইভাবে নাজমুল বিশ্বাসের নামে দুই লাখ টাকা এবং শাহিনা খাতুনের নামে আরও দুই লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়। এ ছাড়াও আরেক ভুক্তভোগীর নাম প্রকাশ না করে জানানো হয়, তার নামেও ঋণ তোলা হয়েছে। মোট চারজনের নামে তোলা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮,৭০,০০০ টাকা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সাহেদুল ইসলাম (বাপ্পি) দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি ও অন্যান্য কাগজ সংগ্রহ করতেন। এরপর তারা না জেনেই তাদের নামে ঋণ অনুমোদন করিয়ে সেই অর্থ আত্মসাৎ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন,“আমরা কেউই কোনো টাকা পাইনি। অথচ এখন আমাদের নামে কিস্তির চাপ আসছে। এনজিও থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে কিস্তি না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”গ্রাহকরা জানান, এনজিও কর্তৃপক্ষকে বারবার বিষয়টি জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত তারা প্রতারক কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
উল্টো ক্ষতিগ্রস্তদের দোষারোপ করে কিস্তি আদায়ের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, অভিযুক্ত কর্মী রাশেদুল ইসলাম বাপ্পির গ্রেপ্তার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান। এ বিষয়ে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিএফ) শালিখা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, নিয়মের মধ্যে আমরা লোন দিয়েছি, কর্মীর সাথে তাদের কি ঘটেছে তা আমি জানি না। আর প্রমাণ ছাড়া আমার কিছু করনীয় নেই।























