শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করুণ চিত্র, যেন ময়লার ভাগাড়
- আপডেট: ১০:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / ১০৮
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

সাখাওয়াত হোসেন, নাভারণ (যশোর): যেখানে রোগীর চিকিৎসা হবে সেখানে হাসপাতাল নিজেই অসুস্থ্যতায় ভুগছে! যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন একটি অবহেলিত জনপদের প্রতিচ্ছবি।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল অবস্থিত। অত্র উপজেলায় প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের বসবাস। তবে এতবড় জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি আজ নিজেই অসুস্থ। হাসপাতালের চত্বর থেকে শুরু করে ভিতরের পরিবেশ—সবই নোংরা, দুর্গন্ধময় ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো হাসপাতালজুড়ে রয়েছে অবাঞ্চিত গাছপালা ও জঙ্গল। কোথাও কোথাও ময়লার ভাগাড়, নেই কোনো কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সামান্য বৃষ্টিতেই হাসপাতাল চত্বরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। করোনা কালে নির্মিত হাত ধোয়ার বেসিনগুলো এখন অকেজো, জমে থাকে বৃষ্টির পানি।
হাসপাতালের ভিতরের চিত্র আরও ভয়াবহ। জরুরি বিভাগের সামনেই পানি জমে আছে। বাথরুমগুলোর অবস্থা এতটাই করুণ যে, রোগীরা ব্যবহার করতে ভয় পান। এক রোগীর স্বজন খোদেজা বেগম বলেন, “ভিতরে বাথরুম ব্যবহার করা তো দূরের কথা, সেখানে দাঁড়ানোই কষ্টকর।”
অথচ, স্বাস্থ্য সচেতনতায় প্রশাসন মাইকে প্রচার চালাচ্ছে—”বাড়ির আঙিনায় পানি জমে থাকলে জরিমানা হবে”। সচেতন মহলের প্রশ্ন, নিজের ঘর তো আগে পরিষ্কার হওয়া উচিত!
হাসপাতালের আরএমও ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, জনবল সংকট ও বাজেট ঘাটতির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অব্যবস্থাপনা চলছে। তবে শিগগিরই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও চত্বর পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক পরামর্শও দিচ্ছেন তিনি।
এলাকাবাসীর দাবি, বেনাপোল বন্দরের রাজস্বে সারা দেশ চলে, অথচ এখানকার মানুষই ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত—এ কেমন বৈপরীত্য?





















