ডেস্ক রিপোর্ট : গাজীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পরিতোষ চক্রবর্তী (৪৫) নামে এক লেবু বিক্রেতা ট্রেনে কাটা পড়েছেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মহানগরীর জয়দেবপুর জংশনের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের শিববাড়ী সড়কের রেল গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পরিতোষ চক্রবর্তী (৪৫) নওগাঁ জেলার নওগাঁদা গ্রামের আত্রাই থানার বাসিন্দা। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিতোষ রেললাইনের পাশে নিয়মিত অনেকের মত ভ্রাম্যমাণ লেবু বিক্রেতা। প্রতিদিনের ন্যায় তিনি লেবু নিয়ে যান। পরে দুপুর ১২টার দিকে তিনি পলিথিনে লেবু প্যাকেট করছিলেন। এ সময় পুলিশ এসে তাকে লাঠি দিয়ে পায়ে আঘাত করেন। পরে আত্মরক্ষার্থে পরিতোষ ওইখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর সেই পুলিশ তাকে লাথি মারলে তিনি রেললাইনের ওপরে পড়ে যান। সে সময় তাৎক্ষণিক একটি ট্রেন পরিতোষের বাম পায়ের ওপর দিয়ে চলে গেলে তার পা কেটে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরিতোষের শাশুড়ি জানান, পরিতোষ রেললাইনের ফুটপাতে লেবু বিক্রি করেন। পরিতোষ রেলগেটে লেবু পলিথিনে ভরে প্যাকেট করছিলেন। হঠাৎ গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার এক পুলিশ গিয়ে তাকে পেটাতে শুরু করে। পরে তিনি দৌড় দিলে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।

ট্রেনে কাটা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ দেখে দৌড়ে পালাতে গিয়ে এক লেবু ব্যবসায়ী দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় পরিতোষ নামে ওই ব্যক্তিকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউর ইসলাম জানান, রেললাইনে উচ্ছেদ অভিযান চলমান একটি প্রক্রিয়া। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহির রেলক্রসিংয়ে ডিউটিতে ছিলেন। পুলিশ দেখে অনেকেই পালানোর চেষ্টা করতে পারেন। পুলিশের ধাওয়া দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। ওই লেবু বিক্রেতা পুলিশ দেখে দৌড় দিয়ে ট্রেনে কাটা পড়েছেন। তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।