০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল দশা !

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৮:৩৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • / ৯৩

যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল দশা!

সাঈদ ইবনে হানিফ : এই হলো আমাদের চিরচেনা যশোর-খুলনা মহাসড়কের চিত্র। বিশেষ করে যশোর থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত অংশের বেশিরভাগ স্থানেই দেখা মেলে এমন সব চিত্র।

কোথাও খানাখন্দ, কোথাও উঁচু ডিবির পিরামিড, আবার কোথাও দেখতে মনে হয় কাদামাটির রাস্তা। মাঝে মধ্যে ইটের সলিং দিয়ে ছেঁড়া রাস্তা জোড়া তালি দেওয়া হয়েছে।। কিন্তু প্রশ্ন হলো মাত্র একবছর আগে (আওয়ামী লীগ সরকার) হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে এই সড়কটি সংস্কার করেছিল। যার টেকসই মেয়াদ ছিল কমপক্ষে ৫/১০ বছর পর্যন্ত। কিন্তু বাস্তবে এই সড়কটি সংস্কার অথবা নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল আসলে কি সেই অনুযায়ী কাজের মান ও টেকসই উন্নয়নের নূন্যতম ধারা ঠিক রাখা হয়েছিল?

রাস্তার এমন বেহাল চিত্র দেখে সম্প্রতি সময়ে পথচারীসহ সাধারণ মানুষ বলছেন, বিগত সরকারের সময়ে, রাস্তাঘাট উন্নয়নের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে। আবার কোন টা ছিল মানুষের চোখে’ দেখানো উন্নয়ন। কারণ হিসেবে জনসাধারণ বলেছেন, সেই সময় দেখা গেছে এই রাস্তার সংস্কার বা নির্মন করার মাত্র ২/৩ সপ্তাহের মধ্যেই তা নষ্ট হয়েছে। তারপরও ওই সময়ে এতসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস দেখাইনি। বর্তমানে সড়কটির অধিকাংশ এলাকায় দেখা দিয়েছে খানাখন্দ, কোথাও উঁচু ডিবির পিরামিড, আবার কোথাও নষ্ট সড়কে ইটের সলিং দেওয়া হয়েছে। ফলে সড়কটি দিয়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। গত দুই সপ্তাহে ছোট বড় ২৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেসব ঘটনায় আহত এবং নিহত হয়েছে বেশ কয়েক জন।

বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় চলাচলের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। কাদামাটি ও খানাখন্দের সড়কে দুর্ঘটনার প্রবনতা ও বাড়ছে। যা নিয়ে অনেকটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে চালক ও যাত্রী সাধারণের মধ্যে। সচেতন জনসাধারণ এবং যানবাহন চালকদের দাবি আগামীতে এই ধরনের (আই-ওয়াস) মার্কা উন্নয়ন বন্ধ করে টেকসই উন্নয়নে নজর দেওয়া উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল দশা !

আপডেট: ০৮:৩৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

যশোর-খুলনা মহাসড়কের বেহাল দশা!

সাঈদ ইবনে হানিফ : এই হলো আমাদের চিরচেনা যশোর-খুলনা মহাসড়কের চিত্র। বিশেষ করে যশোর থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত অংশের বেশিরভাগ স্থানেই দেখা মেলে এমন সব চিত্র।

কোথাও খানাখন্দ, কোথাও উঁচু ডিবির পিরামিড, আবার কোথাও দেখতে মনে হয় কাদামাটির রাস্তা। মাঝে মধ্যে ইটের সলিং দিয়ে ছেঁড়া রাস্তা জোড়া তালি দেওয়া হয়েছে।। কিন্তু প্রশ্ন হলো মাত্র একবছর আগে (আওয়ামী লীগ সরকার) হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে এই সড়কটি সংস্কার করেছিল। যার টেকসই মেয়াদ ছিল কমপক্ষে ৫/১০ বছর পর্যন্ত। কিন্তু বাস্তবে এই সড়কটি সংস্কার অথবা নির্মাণে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল আসলে কি সেই অনুযায়ী কাজের মান ও টেকসই উন্নয়নের নূন্যতম ধারা ঠিক রাখা হয়েছিল?

রাস্তার এমন বেহাল চিত্র দেখে সম্প্রতি সময়ে পথচারীসহ সাধারণ মানুষ বলছেন, বিগত সরকারের সময়ে, রাস্তাঘাট উন্নয়নের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে। আবার কোন টা ছিল মানুষের চোখে’ দেখানো উন্নয়ন। কারণ হিসেবে জনসাধারণ বলেছেন, সেই সময় দেখা গেছে এই রাস্তার সংস্কার বা নির্মন করার মাত্র ২/৩ সপ্তাহের মধ্যেই তা নষ্ট হয়েছে। তারপরও ওই সময়ে এতসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস দেখাইনি। বর্তমানে সড়কটির অধিকাংশ এলাকায় দেখা দিয়েছে খানাখন্দ, কোথাও উঁচু ডিবির পিরামিড, আবার কোথাও নষ্ট সড়কে ইটের সলিং দেওয়া হয়েছে। ফলে সড়কটি দিয়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। গত দুই সপ্তাহে ছোট বড় ২৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেসব ঘটনায় আহত এবং নিহত হয়েছে বেশ কয়েক জন।

বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় চলাচলের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। কাদামাটি ও খানাখন্দের সড়কে দুর্ঘটনার প্রবনতা ও বাড়ছে। যা নিয়ে অনেকটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে চালক ও যাত্রী সাধারণের মধ্যে। সচেতন জনসাধারণ এবং যানবাহন চালকদের দাবি আগামীতে এই ধরনের (আই-ওয়াস) মার্কা উন্নয়ন বন্ধ করে টেকসই উন্নয়নে নজর দেওয়া উচিত।