জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ জানুয়ারি ৫, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2583 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র।
ভোট ঠেকাতে বিএনপির ডাকা হরতালের আগের রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ঢাকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন।
এছাড়া আসিফ (৩০) নামের এক যুবক ৮ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুঁলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “এটা নাশকতা কি না আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। যাত্রীদের মধ্যে অনেকে ছিলেন ভারতীয়। কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর আগে আগে গোপীবাগ কাঁচাবাজারের কাছে ওই ট্রেনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ৯টা ৫মিনিটে চলন্ত ট্রেনে আগুন লাগার খবর পান তারা। আগুন নেভাতে মোট আটটি ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে ট্রেনে আগুনে পাঁচটি বগি একেবারে পুড়ে গেছে। সেখানে খুবই ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। ভেতরে কী ঘটেছে বলা যাচ্ছে না। আমরা আগুন নির্বাপনের কাজ করছি।
সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে ট্রেনের কয়েকটি বগি দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায়।
নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির হরতাল অবরোধের মধ্যে গত দুই মাসে প্রায় তিনশ যানবাহন নাশকতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ট্রেনে আগুন দেওয়া এবং রেললাইন কেটে রাখার কয়েকটি ঘটনায় অন্তত পাঁচজনের প্রাণ গেছে।
এর মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হলে এক নারী ও তাঁর শিশু সন্তানসহ চারজন মারা যান। যাত্রীবেশে ট্রেনে উঠে সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশের তরফ থেকে সে সময় জানানো হয়েছিল।