বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হাজির বাজার এলাকায় বনবিভাগের কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল নিয়ে স্থানীয় আব্দুল সালামের মেয়ে রিনা আক্তার কনজ্যুমার ফ্যাক্টরি সংলগ্ন পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও কনজ্যুমার সংলগ্ন রাস্তার পশ্চিম অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল বছির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি কোনো ডিমার্কেশন না করেই বাসা নির্মাণ কাজ শুরু করার অভিযোগ উঠেছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার হাজির বাজার এলাকায় স্থানীয় মৃত: আব্দুল সালামের মেয়ে রিনা আক্তার বন বিভাগের প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের বনের জমি দখল নিয়ে ১০ ফুট উচ্চতা করে বাউন্ডারী নির্মাণ কাজ করাচ্ছেন। যদিও গত দুইদিন ওই নির্মান কাজটি সাময়িক বন্ধ করানো হয়েছিল। বর্তমানে আবারও ওই বাউন্ডারী নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

এদিকে কনজ্যুমার ফ্যাক্টরি সংলগ্ন রাস্তার পশ্চিম পাশে কোন ডিমার্কেশন ছাড়াই আখালিয়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন শিকদারের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল বছির উদ্দিন ধামসোর মৌজার (১১০৮ দাগের) জমিতে (১১ ডিসেম্বর সোমবার) সকাল থেকে তড়িঘড়ি করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, এর আগে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় অভিযোগে বন বিভাগের লোকজন বন্ধ করে দিযেছিলেন। কিন্তুু বনভিাগের অসাধু ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই স্থানীয় আব্দুল সালামের মেয়ে রিনা আক্তার এর পুনরায় নির্মাণ কাজটি পুরোদমে চলছে।

বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার ভালুকা রেঞ্জের অধীনে হাজিরবাজার ক্যাম্পের আওতায় হাজির বাজার এলাকায় বন বিভাগের জমি দখল করে একাধিক নির্মাণ কাজ অবাধেই চলছে। তাদের বিরুদ্ধে বন আইনী কোন ব্যবস্থা এখনো নেননি বন বিভাগ। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে বিষয়টি রহস্যময়।

সচেতন মহল জানায়, এসব বনের জমি অবাদেই দখল করে নিচ্ছে। যেখানে একটি ইট বসালেও বন বিভাগের চোখ এড়ানো সম্ভব নয়, সেখানে চলমান কাজ দেখে জনমনে প্রশ্ন, সীমানা প্রাচীর বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ হচ্ছে কেন। বন বিভাগের লোক কৌশলে জড়িত ছিলো কি-না।

এ বিষয়ে জবরদখল কারীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, হাজির বাজার বিট ক্যাম্পের ফরেস্ট গাট ফারুক জানান, প্রাচীর নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি গত দুইদিন আগে। বর্তমান চলমকন কাজের কথা অস্বীকার করেন।