০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

আপত্তিকর কথোপকথন ফাঁস: সারোয়ার তুষারকে এনসিপির কারণ দর্শানো নোটিশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৭:২৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / ২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বুধবার (১৭ জুন) এনসিপির পক্ষ থেকে সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। এতে আগামী পাঁচ (০৫) দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এই সময়কালে তাকে দলের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

দলীয় যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, “আপনার বিরুদ্ধে একটি নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। উক্ত বিষয়ে আপনার সুনির্দিষ্ট অবস্থান ও ব্যাখ্যা আহ্বায়ক জনাব মোঃ নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব জনাব মোঃ আখতার হোসেন জানতে চেয়েছেন।”

নোটিশে আরও বলা হয়, “উত্থাপিত নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগের কারণে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী পাঁচ (০৫) দিনের মধ্যে দলের রাজনৈতিক পর্ষদ এবং এই অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির কাছে জমা দিতে হবে।”

এই অডিও ক্লিপ ঘিরে এনসিপির অভ্যন্তরীণ ও বাইরের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ক্লিপে সারোয়ার তুষার নামে একজন পুরুষের সঙ্গে এক নারীর ঘনিষ্ঠ ও আপত্তিকর আলাপ শোনা যায়। এর ফলে এনসিপির ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে, বিশেষত যেহেতু তুষার দলটির অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত এবং সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ইস্যুতে সক্রিয় ছিলেন।

দলের শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয় এনসিপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি, ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি ফাঁস হওয়া অডিওর সত্যতা, প্রেক্ষাপট ও সম্ভাব্য প্রভাব যাচাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

দলীয় নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই পদক্ষেপ কেবল একটি ‘ব্যক্তিগত অনৈতিকতা’ নয়, বরং দলের ভাবমূর্তি রক্ষার একটি জরুরি প্রয়াস।

Please Share This Post in Your Social Media

আপত্তিকর কথোপকথন ফাঁস: সারোয়ার তুষারকে এনসিপির কারণ দর্শানো নোটিশ

আপডেট: ০৭:২৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বুধবার (১৭ জুন) এনসিপির পক্ষ থেকে সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। এতে আগামী পাঁচ (০৫) দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এই সময়কালে তাকে দলের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

দলীয় যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, “আপনার বিরুদ্ধে একটি নৈতিক স্খলনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। উক্ত বিষয়ে আপনার সুনির্দিষ্ট অবস্থান ও ব্যাখ্যা আহ্বায়ক জনাব মোঃ নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব জনাব মোঃ আখতার হোসেন জানতে চেয়েছেন।”

নোটিশে আরও বলা হয়, “উত্থাপিত নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগের কারণে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী পাঁচ (০৫) দিনের মধ্যে দলের রাজনৈতিক পর্ষদ এবং এই অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির কাছে জমা দিতে হবে।”

এই অডিও ক্লিপ ঘিরে এনসিপির অভ্যন্তরীণ ও বাইরের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ক্লিপে সারোয়ার তুষার নামে একজন পুরুষের সঙ্গে এক নারীর ঘনিষ্ঠ ও আপত্তিকর আলাপ শোনা যায়। এর ফলে এনসিপির ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে, বিশেষত যেহেতু তুষার দলটির অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত এবং সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ইস্যুতে সক্রিয় ছিলেন।

দলের শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয় এনসিপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি, ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি ফাঁস হওয়া অডিওর সত্যতা, প্রেক্ষাপট ও সম্ভাব্য প্রভাব যাচাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

দলীয় নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই পদক্ষেপ কেবল একটি ‘ব্যক্তিগত অনৈতিকতা’ নয়, বরং দলের ভাবমূর্তি রক্ষার একটি জরুরি প্রয়াস।